E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

২০১৭ জুলাই ০৪ ১৬:১৬:৫৭
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সদর উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এ বিষয়ে শুনানীর জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা শিশু আদালতের বিচারক মো. শফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবি আহসানুল হক লাছু জানান, মোস্তাফিজুর রহমান স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে। কিন্তু বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া এ বিষয়ে শুনানীর জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছে আদালত।

তিনি আরও জানান, ধর্ষণ চেষ্টার মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত থেকে শিশু আদালতে নেওয়া হয়েছে। শিশু আদালতে মামলাটি পরিচালিত হবে।

এরআগে, গত ৩ জুন স্কুলছাত্রীর চাচা বাদি হয়ে ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, মোস্তাফিজুর রহমান বাদল নানাভাবে নিজ স্কুলের ওই ছাত্রীকে উত্যাক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী খোর্দ্দ মালিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেয় তার পরিবার। কিন্তু তারপরেও তাকে নানাভাবে উত্যাক্ত করে আসছিলো মোস্তাফিজুর।

গত ২৭ মে রাতে মোস্তাফিজুর ছাত্রীর বাড়িতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মোস্তাফিজুর তার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মোস্তাফিজুর রহমান মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

মোস্তাফিজুর রহমান বাদল সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও লেংগা বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। মোস্তাফিজুর রহমান বাদল সদর উপজেলার মৌজা মালীবাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

(এইচআইবি/এএস/জুলাই ০৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test