E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরগঞ্জে অভিযান শেষ : গ্রেফতার ৬

২০১৭ জুলাই ০৯ ১২:৩৯:৪১
সুন্দরগঞ্জে অভিযান শেষ : গ্রেফতার ৬

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : জঙ্গি আস্তানার খোঁজে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে চালানো অভিযান শেষ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শনিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), জেলা পুলিশ লাইনের পুলিশ ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের প্রায় ৬০ জন কর্মকর্তা ও সদস্য নেন।

অভিযানে মামলার সাজাপ্রাপ্ত, ওয়ারেন্টভুক্ত ও পলাতক ছয়জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের মধ্যশিবরাম গ্রামের মৃত ভূষণ বৈরাগীর ছেলে চন্দন কুমার (২৭), শান্তিরাম ইউনিয়নের খামার পাঁচগাছী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল-আমিন (২৫), তারাপুর ইউনিয়নের চরখোর্দা গ্রামের দীন মোহাম্মদের ছেলে মোস্তফা ওরফে মোস্তা (২২), একই গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৫), রংপুরের পীরগাছা উপজেলার রহমতের চরের মো. আব্দুল মজিদের ছেলে লিটন মিয়া (১৯) এবং কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার পীরমামুদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আলম মিয়া (২৮)।

এদের মধ্যে চন্দন কুমার সাজাপ্রাপ্ত এবং মো. আল-আমিন ও মোস্তফা ওরফে মোস্তা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এ ছাড়া অন্যান্যদের নামে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুকের নেতৃত্বে চরবেষ্টিত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিয়ার রহমান বলেন, গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলগুলোতে অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্তসহ ওয়ারেন্টভুক্ত ও পলাতক বিভিন্ন মামলার ছয় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হক বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেফতার, নৌ ডাকাতি প্রতিরোধ, জঙ্গিদের তৎপরতা ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং মানুষকে সচেতন করতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, অভিযানে কোনো জঙ্গি আস্তানা বা জঙ্গি পাওয়া যায়নি। যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার পলাতক, ওয়ারেন্টভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

তিনি আরও বলেন, আগামীতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া থানাগুলো নিয়মিত তাদের অভিযান চালাবে।

অভিযানে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিয়ার রহমানসহ পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা অংশ নেন।

এর আগে গত বুধবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের কযেকটি চরে অভিযান চালিয়ে একজন ডাকাতকে আটক করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়ন এবং গতকাল শনিবার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলগুলোর বিভিন্ন চরে অভিযানে কিছু পায়নি পুলিশ।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test