E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হাটের জায়গা বরাদ্দে অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

২০১৭ জুলাই ১৩ ১৬:৩৫:১৭
হাটের জায়গা বরাদ্দে অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর হাটের সরকারি জায়গা (হাট পেরিফেরী) বরাদ্দে এসি ল্যান্ডের ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। এসময় চার দফা দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপিও দেন তারা।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় চাটমোহর উপজেলা পরিষদের গেটের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে মিলিত হন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। তারা বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে তাদের দাবি তুলে ধরেন। এসময় চাটমোহর উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে যোগ দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন, উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির ভরপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়ারুল হক সিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বিদ্যুৎ, মথুরাপুর হাটের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক, মনিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মজনুর রহমান প্রমুখ।

এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন, মথুরাপুর হাটে ৩০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন এমন লোককে বাদ দিয়ে যারা কোনোদিনও ব্যবসা করেননি তাদের জায়গা বরাদ্দ দিয়েছেন এসিল্যান্ড মিজানুর রহমান। তিনি ব্যাপক স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নিজ পছন্দের মানুষ, ভূমি অফিসের কর্মচারী, কর্মচারীর ভাই, আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রভাবশালীদের নামে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছেন। বাদ পড়েছেন অনেক প্রকৃত স্থানীয় ব্যবসায়ী। এলাকার বাইরে যাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তারা ইতিমধ্যে পজিশন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা পকেটে তোলার কাজ শুরু করেছেন। বিষয়গুলো তদন্ত করে হাটের জায়গা সুষ্ঠুভাবে বরাদ্দের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

পরে ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম শেহেলী লায়লা স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, স্থানীয় এলাকার বাইরে যারা বরাদ্দ পেয়েছে, যারা কখনও মথুরাপুর হাটের ব্যবসায়ী ছিলেন না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে সেখানে বাদ পড়া প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ দেয়া হবে। নদীর মধ্যে বা গর্তের মধ্যে যারা বরাদ্দ পেয়েছে তাদেরকে অন্য পজিশন দেয়া হবে। গর্ত বা নদীর কিনার যা আছে সেখানে ভরাট করে তারপর বরাদ্দ দেয়া হবে। এজন্য কিছু সময়তো দিতে হবে।

প্রসঙ্গত: মথুরাপুর হাটের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের প্রায় দেড় বছর পর গত ৮ জুলাই আবেদন করা ব্যবসায়ীদের মধ্যে ১৪০ জনকে ডিসিআরের মাধ্যমে দোকানের পজিশন বরাদ্দ দেয়া হয়। এই বরাদ্দের পর দেখা যায় নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি। বাদ পড়েন অনেক প্রকৃত স্থানীয় ব্যবসায়ী। এর প্রতিবাদে ১১ জুলাই দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।

(এসএইচএম/এসপি/জুলাই ১৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test