E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

১২ বছর পর ধর্ষণের বিচার পেলেন তরুণী

২০১৭ জুলাই ২৭ ১৩:৫৪:২১
১২ বছর পর ধর্ষণের বিচার পেলেন তরুণী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণের দায়ে মাইন উদ্দিন ও সহযোগিতা করায় হালিমা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

আদালত ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর ১১ বছর বয়সী মেয়েকে রাষ্ট্রীয় খরচে লালন পালনের জন্য জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দেন। এছাড়াও ওই তরুণী তার স্বামী ও মেয়ের বাবা হিসেবে আসামি মাইন উদ্দিনের পরিচয় বহন করবে বলেও নির্দেশ দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাইদুর রহমান গাজী এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আবুল বাশার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সাজাপ্রাপ্ত মাইন উদ্দিন সদর উপজেলা শাকচর গ্রামের রহিম উদ্দিন বেপারী বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও হালিমা খাতুন একই বাড়ির প্রবাসী নুরুল ইসলামের স্ত্রী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাকচর গ্রামের মাইন উদ্দিন সম্পর্কে ওই তরুণীর চাচাতো ভাই। প্রায়ই সে তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো এবং তাকে বিভিন্ন সময় খারাপ প্রস্তাব দিতো। এতে রাজী না হওয়ায় তাকে বিয়ে প্রস্তাব দেয় মাইন উদ্দিন।

পরে ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল রাতে একই বাড়ির প্রবাসী নুরুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা খাতুনের শাশুড়ি বাড়িতে না থাকায় তার সঙ্গে রাতে ঘুমানোর জন্য ওই তরুণীকে নিয়ে যায়। ওই রাতে হালিমার সহযোগিতায় মাইন উদ্দিন ঘরে ঢুকে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।

কিছুদিন পর তরুণীর গর্ভে সন্তান এলে স্থানীয় ব্যক্তিরা ঘটনার সত্যতা জানতে পারে। ওইসময় মাইন উদ্দিন ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে। পরে ২০০৫ সালের ৩০ অক্টোবর ৭ মাস অন্তঃসত্ত্বা তরুণী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ সাক্ষ্য-গ্রহণ ও শুনানি শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test