E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফরিদপুরে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম : নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ

২০১৭ জুলাই ২৭ ১৭:১১:০১
ফরিদপুরে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম : নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুর-সালথা-মুকসুদপুর সড়কের ২-৩ লটের ১৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজের শুরুতেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কের দুই পাশের মাটি ভেঙ্গে পড়ছে খাদে। বৃষ্টি ও কাদা-মাটির মধ্যে চলছে সড়ক নির্মাণের কাজ। ফলে কাজের মান কতটা ভাল হবে তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে।  

জানা গেছে, ফরিদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে ১শ’ ৭কোটি ৪৭লাখ ৫৭ হাজার টাকা এ নির্মাণ কাজে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ঠেনঠেনিয়া বাজার থেকে সালথা বাজার হয়ে ফুকরা পর্যন্ত ২-৩ লটের ১৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে প্রায় ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সড়কের দুই পাশে মাটির কাজে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, এই সড়কের কাজের ঠিকাদার মাঈনুদ্দীন বাঁশীর আত্মীয় হয়। আত্মীয়তার সুবাদে কাজ দুটি পায় মেসার্স মাঈনুদ্দিন ট্রেডার্স নামের এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজের শুরুতেই সড়কের দুই পাশের মাটি ভেঙ্গে খাদে পড়ে যায়। ভাঙ্গা সড়কেই বর্তমানে কাজ চলছে।

এছাড়াও সড়কের নিন্মমানের পাথর, বালি, ইটসহ সামগ্রী মালামাল দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। প্রকৌশলীর যোগসাজশে ঠিকাদার সড়কের দুই পাশের সাবডেস ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি উচ্চতা করার কথা থাকলেও মাত্র ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি উচ্চতা করে বালি-খোয়া দিয়েছে। ঈদের আগে সড়কের ডেস টাইপ-১ এর ২০% কাজ করা হয়। অথচ জুন মাসে বিলের পুরো টাকা উত্তোলন করে নেয়। বিটুমিন দ্বারা প্রাইমকোট ও কার্পেটিংয়ের কোন কাজ না করেই ৮০% বিল প্রদান করেন প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম। আর এসবই করা সম্ভব হয়েছে আত্মীয়তার কারণে।

একাধিক সুত্র জানায়, কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মাঈনুদ্দিন বাঁশি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ট আত্মীয়। আত্মীয়তার সুবাধে সড়কের নির্মাণ কাজে একের পর এক অনিয়ম করেই আসছে ঠিকাদার। ঠিকাদারের বেপোরোয়া অনিয়মের ভাগ নিচ্ছেন প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম। তাই মোটা অংকের উৎকোস গ্রহণ করে একের পর এক বিল প্রদান করে আসছেন তিনি। এমনকি ২-৩ লট ছাড়াও ৪ লটের কাজ উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দিয়েছে এ প্রকৌশলী।

এ বিষয়ে কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের ম্যানেজার রতন হোসেন বলেন, আমরা কাজটি নিযমানুযায়ী করছি। কাজে কোন অনিয়ম হচ্ছে না।

কাজের তদারকি কর্মকর্তা, জনপদ ও সড়কের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ফরিদুর রহমান বলেন, সড়কের কাজ না করে টাকা উত্তোলন করেছে এমনটা আমার জানা নাই।

এব্যাপারে ফরিদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


(এএনএইচ/এসপি/জুলাই ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test