E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

রায়পুরে ফেরি করে ‘বাবা’ বিক্রি

২০১৪ জুন ২৬ ১৬:৫৪:১২
রায়পুরে ফেরি করে ‘বাবা’ বিক্রি

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় যৌন উত্তেজক নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবহার ও কেনাবেচা বেড়ে গেছে।

ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কাছে এটি ‘বাবা’ নামে পরিচিত। গত দুই মাস ধরে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে এ ‘বাবা’। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রায়পুরে গত তিন বছর ধরে ইয়াবা কেনাবেচা হয়। শহরের ধনীর দুলালরা প্রতিদিন এটি সেবন করছে। রায়পুর উপজেলায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট কেনাবেচা হয়। চট্টগ্রাম, খুলনা ও ফেনি থেকে ইয়াবা মালবাহী ব্যানে করে রামগঞ্জ রোড ব্যাবহার করে রায়পুর আনা হয়। পরে বিক্রেতারা মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবনকারীদের চাহিদানুযায়ী পালসারসহ বিভিন্ন দামী মোটর সাইকেল হাকিয়ে আসক্তদের কাছে পৌছে দেয় ইয়াবা। প্রতিটি ইয়াবা বিক্রি হয় ৫০০-৬০০ টাকায়। রায়পুর ছাড়াও প্রতিদিন লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর থেকে আসক্তরা এখানে এসে সন্ধ্যার পরে ভীড় জমায়।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার মধ্যে ইয়াবা’র ঘাটি রায়পুরে। এজন্য আসক্তরা প্রতিদিন রায়পুর শহরে এটি সংগ্রহ করতে ভীড় জমায়। রায়পুর পৌর শহরের ব্রাক ব্যাংক, নতুন বাজার, মহিলা কলেজ এলাকা, জ্বীনের মসজিদ, মোল¬ার হাট, মধুপুর আইডিয়ালসিটি, পৌরসভা ভবন এলাকা, মীরগঞ্জ সড়ক, লেংড়াবাজার, বাসস্ট্যান্ড, হল রোড, পোস্ট অফিস এলাকাসহ উপজেলার হায়দারগঞ্জ, পানপাড়া, মালিবাড়ি, রাখালিয়া, বামনী ও চরপাতাসহ অন্তত ৪০টি স্থানে দুই মাস ধরে ফেরি করে ইয়াবা বিক্রি হয়।
মূল ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বরাবরই ধরাছোয়ার বাহিরে থাকলেও আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তাদের (ইয়াবা ব্যবসায়ী) নিয়োগ করা লোকজন। তারা প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা হাজিরায় মালিকদের কথা মতো গ্রাহকদের হাতে পৌছে দেয় ইয়াবা।

রায়পুর থানা পুলিশসহ ডিবি পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে চলতি মে মাসে ফেরি করে ইয়াবা বিক্রি করার সময় পৌর শহরের মধুপুর গ্রামের তুহিনকে ১০ পিচ ইয়াবা, নাজিম উদ্দিন ও দক্ষিন দেনায়েতপুর গ্রামের মো. সেলিমকে ৫’শ গ্রাম গাঁজা, মাছবাজার এলাকা থেকে ১০ লিটার চোলাইমদসহ বাচ্চু নামের একজনকে আটক করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের কিছু সংখ্যক নেতার শেল্টারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-পাতি নেতা ও ক্যাডাররা ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে নারাজ। এটি সেবন করে যুব ও ছাত্র সমাজ দিন দিন ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে।

রায়পুর থানার ওসি একেএম মনঞ্জুরুল হক আখন্দ বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ফেরি করে ইয়াবাসহ মাদক দ্রব্য বিক্রি হয় বলে আমিও শুনেছি। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে কয়েক মাদক ব্যবসায়ীকে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করায় বিভিন্ন মেয়াদে কয়েক মাদক ব্যবসায়ীর সাজা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের জন্য তিনি সকল শ্রেণী-পেশার লোকজনের সহযোগিতার আহবান জানান।


(এমআরএস/এটিআর/জুন ২৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test