E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

কুমিল্লায় বিদ্যুত বিভাগের ভুতুড়ে বিলে বিপাকে গ্রাহকরা

২০১৭ আগস্ট ০১ ২১:৩৪:৪২
কুমিল্লায় বিদ্যুত বিভাগের ভুতুড়ে বিলে বিপাকে গ্রাহকরা

হুমায়ূন কবির জীবন, কুমিল্লা : ফেব্রুয়ারিতে বিল ৮ হাজার ৮২০, মার্চে ১২ হাজার ৫৮০, এপ্রিলে ২৩ হাজার ৫৬, মে মাসে ১১ হাজার ১৬৫ টাকা বিল এসেছে কুমিল্লা শহরের রাণীর দিঘির পাড়ের প্যারাডাইস স্নেহনীড় ভবনে। কিন্তু জুন মাসে এ বিল আট গুন বেড়ে এসেছে ৮৬ হাজার ৭৮৯ টাকা। বিল দেখে মাথায় বজ্রপাত হওয়ার মতো অবস্থা ঐ ভবনের ফ্ল্যাট মালিক এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের।

অতিরিক্ত ৭৫ হাজার টাকা কোথা থেকে তারা সংস্থান করবেন বুঝতে পারছেন না। এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. তোফায়েল আহমেদ উপায়ন্তর না দেখে কুমিল্লা বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করেছেন পুনরায় তদন্ত করে বিল দেয়ার জন্য। কিন্তু বিদ্যুত অফিস থেকে বলা হয়েছে বিলটি জমা দিতেই হবে। পরের মাসে যাতে কম আসে সেটি তারা দেখবেন।

কুমিল্লার দ্বিতীয় মুরাদপুরের রুস্তম আলীর ছেলে কাউসার হোসেনের মিটারে বর্তমানে ব্যবহৃত ইউনিট লেখা আছে ২৬৮৬ ইউনিট। অথচ জুন মাসে পাঠানো বিলে চার্জ করা হয়েছে বর্তমানে ব্যবহৃত ২৯১০ ইউনিট লিখে। তার হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে ১৫ শ ৬৩ টাকার বিল।

একই অবস্থা কুমিল্লার পুলিশ লাইনের এসএ বারি মার্কেটের গ্রামীন অটোর নাজমুল হাসান হিরনের। তা মিটারে বর্তমানে ব্যবহৃত ইউনিট লেখা আছে ৪৯৮০ ইউনিট। অথচ মে মাসে পাঠানো বিলে চার্জ করা হয়েছে বর্তমানে ব্যবহৃত ৬৩৭০ ইউনিট লিখে।

কুমিল্লা শহরের তেলিকোনা সাহাপাড়ার জয়কুমার পালকেও জুল মাসে বিল দিতে হবে দ্বিগুন। একই বিদ্যুত ব্যবহার করে গত মাসে বিল দিয়েছেন ৭ শ ৩০ টাকা আর এ মাসে দিতে হবে ১৩ শ ৯৪ টাকা।

কুমিল্লা বিদ্যুত বিভাগের এই রকম ভুতুরে বিলে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। জুন মাসে টার্গেট অনুযায়ি কালেকশন বেশি দেখাতে গিয়ে মনগড়া ও দ্বিগুন বিল পাঠাচ্ছেন বিদ্যুত বিভাগ। অভিযোগ রয়েছে মিটার রিডাররা বাসাবাড়ি, কলকারখানায় না গিয়ে নিজের মনের মতো বিল করেন। বিল পরিশোধের শেষ তারিখ চলে গেলে অনেকের কাছে বিল পাঠান। তাছাড়া বিদ্যুত বিভাগে দুর্নীতির কারণেও অনেককে হয়রানী হতে হয়।

কুমিল্লা শহরের মনোহরপুরের একে ফজুলল হক রোডের আবির ইকবাল খান জানান, আগে একটি মিটারে তার বিল আসতো সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। জুন মাসে বিল দিয়েছে ৮ হাজার ১৭৩ টাকা। আরেকটি মিটারে বিল আসতো আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। জুন মাসে বিল দিয়েছে ৬ হাজার ৯৩ টাকা।

এ সব বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে কুমিল্লা বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের জানান, ১১ হাজার টাকার বিল কেন ৮৬ হাজার টাকা তা বিল দেখে বলতে হবে। তিনি বলেন অনেক সময় লোকবলের অভাবে ২/৩ মাসের রিডিং একসাথে নিয়ে সমন্বয় করে দেয়া হয়। ষোল আনা তো সঠিক হয় না। মাঝে মধ্যে ভুল হতে পারে।

টার্গেট পুরণের কোন বিষয় আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান বিল বাড়িয়ে টার্গেট পুরনের কথা ঠিক না।

(এইচকেজে/এএস/আগস্ট ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test