E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাঞ্ছারামপুরে জঙ্গী বিরোধী বক্তব্য রাখায় মসজিদের ইমামকে হত্যার চেষ্টা

২০১৭ আগস্ট ২১ ১৪:৫০:৩৪
বাঞ্ছারামপুরে জঙ্গী বিরোধী বক্তব্য রাখায় মসজিদের ইমামকে হত্যার চেষ্টা

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালি ইউনিয়নের আকানগর গ্রামে জেএমবি সন্দেহ এবং আকানগর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মফিজুল ইসলামকে ধারালো তরবারি দিয়ে হত্যা করতে গিয়েছিলো।

কারণ হিসেবে, তরবারি হতে নিজেকে আত্মরক্ষা করতে যেয়ে নিজের দু হাতের দুটো আঙ্গুল কেটে যাওয়া মা.মফিজ জানান,-‘স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিদের্শে গত শুক্রবার বাদ জুম্মা জঙ্গীবাদ বিরোধী বক্তব্য রাখায় ক্ষিপ্ত হয়ে করিম তাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। তার সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় লম্বা তলোয়ার দিয়ে তাকে একাধিকবার জবাই করার চেষ্টা করে করিম। এ সময় তার মুখের অর্ধেক দাড়ি হাতে টেনে ছিড়ে ফেলে। তার দু হাতে আঙ্গুল ক্ষত-বিক্ষত হয়। এক পর্যায়ে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে জঙ্গীখ্যাত আবদুল করিম নামে এই সন্ত্রাসীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।

শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। করিম একই গ্রামের মৃত দানা মিয়ার ছেলে।গ্রামবাসীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মো.মনিরুল ইসলাম এবং তেজখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.তাজুল ইসলাম মন্তব্য করে বলেন,-‘আ.করিম আগে থেকেই জঙ্গী। তার ভয়ে আমরা সহ এলাকাবাসী কেউ বিষয়টি পুলিশকে জানাতো না। কারণ, তার ৩ শতাধিক সদস্য নিয়ে না-কি জেএমবি’র বাঞ্ছারামপুর ইউনিট গঠন করেছে। সেটি তার নিজের মুখের কথা। অথচ পুলিশ তাকে ৩২৬ ধারায় গ্রেফতার করে কোর্টে চালান দেওয়াটা মোটেও ঠিক করেন নি। যেখানে ১০ হাজার মানুষের পুরো গ্রাম জঙ্গী আতংকে দিন-রাত কাটাচ্ছে সেখানে তাকে ভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করাটা দু:খজনক।’

বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলা হতে ১১ কি:মি: দূরে প্রত্যন্ত গ্রাম আকানগর সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যেয়ে জানা যায়, ১৮ আগষ্ট নিজেকে জেমএমবি ইউনিট (বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ইউনিট) প্রধান দাবীকরা আবদুল করীম প্রথমে একই গ্রামের ভিন্ন আরেকটি মসজিদের ইমাম মাওলানা ইকবাল মিয়াকে একই কারনে (জঙ্গী বিরোধী বক্তব্য রাখায়) ইকবাল ও তার সঙ্গীরা নামাজ শেষ হবার পর পর মসজিদের নির্ধারিত কক্ষে গিয়ে দরজা আটকিয়ে খাবারের পরিকল্পনা করছিলেন। ঠিক সেই মুহুর্তে কথিত জেএমবি নেতা করিম ধারালো অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙ্গে তাকে বেধড়ক মারধোর করে।পরে যাবার সময় নগদ ৫ হাজার টাকা ও নতুন ল্যাপটপটি সাথে নিয়ে যায়।

মাওলানা মফিজুল ইসলামের সাথে মারামারি করার অভিযোগে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অংশু কুমার দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ভিন্নদিকে, গ্রামবাসী বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান পিপিএম’কে মূল ঘটনা ও অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

(এফএকে/এসপি/আগস্ট ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test