E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘সাতক্ষীরা চেম্বারকে গডফাদারমুক্ত রাখা হবে’

২০১৭ আগস্ট ২৫ ১৯:৫৯:১৭
‘সাতক্ষীরা চেম্বারকে গডফাদারমুক্ত রাখা হবে’

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শিল্প ও বণিক সমিতি  নিয়ে একটি অশুভ চক্র  খেলা খেলছে উল্লেখ করে সমিতির সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু বলেন ‘কোনো গডফাদারকে সাতক্ষীরা চেম্বারের নেতৃত্বে আসতে দেওয়া হবে না’। সমিতিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আমরা আলাপ আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি গ্রহনযোগ্য কমিটি গঠন করতে চাই। আর এর সভাপতিও হবেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি রাজনৈতিক নয় বরং চেম্বারের সহায়তায় কাজ করবেন। 

শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে এক অনির্ধারিত প্রেস ব্রিফিংয়ে নাসিম ফারুক খান মিঠু একথা বলেন। এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান, মো. গোলাম আাযম, মনিরুল ইসলাম মিনি, সৈয়দ শাহিনুর আলি, মো. মনিরুজ্জামান মুকুল, মহসিন হোসেন প্রমুখ কর্মকর্তা। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যথাক্রমে এড. আবুল কালাম আজাদ ও আবদুল বারী তাদের স্বাগত জানান। এ সময় অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মিঠু খান আরও বলেন আগামি ডিসেম্বরে সাতক্ষীরা চেম্বারের নির্বাচন। আমরা ভোটাভুটি না করে সমঝোতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মকর্তা তাহমিদ শাহেদ চয়ন, আবদুল মান্নান, মনিরুল ইসলাম মিনি ও সৈয়দ শাহিন আলির ওপর সমিতির পক্ষ থেকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘কিছু সদস্য বলছেন তাহমিদ শাহেদ চয়নকে সভাপতি করা হলে সমঝোতা হবে , অন্যথায় নয়’। তিনি আরও বলেন এটা কোনো সমঝোতামূলক প্রস্তাবনা হতে পারে না।

নিজে পরপর তিনবার সাতক্ষীরা চেম্বারের সভাপতি ছিলেন উল্লেখ করে মিঠু খান বলেন চেম্বার পরিচালিত হয় ট্রেড অরগানাইজেশন রুল ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। সরকার এখানে ১০০ টাকাও দেয় না জানিয়ে তিনি বলেন সব টাকা আসে সদস্যদের নবায়ন ফিসের মাধ্যমে। তিনি বলেন এরই মধ্যে ২০১৬ সালে সাতক্ষীরা চেম্বার প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে এবং একটি তিন তলা ভবন ও তার সম্প্রসারন হয়েছে মন্তব্য করে মিঠু খান বলেন এসবই সদস্যদের টাকায় এবং কিছু অর্থ রয়েছে দান হিসাবে। তিনি বলেন এখানে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাট করার কোনো সুযোগ নেই। একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে সাতক্ষীরা চেম্বার সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার সদস্য হিসাবে যুক্ত রয়েছে। সাতক্ষীরা চেম্বারে ১০০০ থেকে ১২০০ সদস্য রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন এখানে রয়েছেন ২০ জন পরিচালক। ‘ আমি প্রতিশ্র“তি দিয়ে বলছি আগামি নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বী হবো না। বরং একজন জ্যেষ্ঠ পরিচালককে আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি বানাতে চাই’। তিনি বলেন তার সময়কালে সাতক্ষীরা বিসিকে ৭১ লাখ টাকাা এসেছে। ভোমরা বন্দর উন্নয়নে সাতক্ষীরা চেম্বার গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছে দাবি করে মিঠু খান বলেন ‘ ভোমরা বন্দরের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণ পুরুষ সম আলাউদ্দিনের মৃত্যু বার্ষিকী কেবলমাত্র আমার সময়ে পালিত হয়েছে’। ভোমরা বন্দর নানাভাবে বৈষম্যের শিকার উল্লেখ করে মিঠু খান বলেন ভোমরা বন্দরে সব পণ্য আমদানি রফতানির সুযোগ নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্য বন্দর ও বিসিকের সহায়তায় কোনো সহায়তা করেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মিঠু খান বলেন আলিপুরের সবুর ও রউফের ইন্ধনে সাতক্ষীরা চেম্বারে দ্বিধা বিভক্তির সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের গ্রামে এরই মধ্যে ৪০০ ব্যক্তিকে তারা সদস্য বানিয়েছেন। তাদের লক্ষ্য কুট কৌশলের মাধ্যমে চেম্বারের শীর্ষ পদ নিজেদের করায়ত্বে রাখা। তিনি বলেন গডফাদারমুক্ত রাখতে না পারলে সাতক্ষীরা চেম্বার ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা যেকোনো মূল্যে অশুভ শক্তির প্রভাবকে প্রতিহত করবো।

(আরকে/এএস/আগস্ট ২৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test