E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চাঁদপুরে ৮ বছরেও চালু হয়নি নৌপূর্বাভাস কেন্দ্রের কার্যক্রম

২০১৪ জুন ২৮ ১৮:৩৩:৩৭
চাঁদপুরে ৮ বছরেও চালু হয়নি নৌপূর্বাভাস কেন্দ্রের কার্যক্রম

চাঁদপুর প্রতিনিধি : চলছে বর্ষা মৌসুম। নদীতে উত্তাল ঢেউ, কোথাও ঘূর্ণাবর্ত, হঠাৎ সৃষ্টি হচ্ছে লঘুচাপ। এসব বৈরী আবহাওয়ায় চাঁদপুর নৌপথে ঝুঁকি নিয়ে চলছে নৌযান। অথচ এ নৌপথে চাঁদপুর-ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঝালকাঠি-বরিশাল-শরীয়তপুরের লঞ্চ ছাড়াও শত শত কার্গো, স্টিমার চলাচল করছে। শুধুমাত্র চাঁদরপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলে ৪০টি।

গত ৮ বছর পূর্বে বর্তমান আওয়ামী সরকার নৌ দুর্ঘটনা প্রশমনকল্পে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। অবশ্য ইতোমধ্যে চাঁদপুর শহরের পালপাড়ার আবহাওয়া অফিসের উত্তর পাশে ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। পরিতাপের বিষয় ভবন নির্মাণের পর সাড়ে ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো প্রকার কার্যক্রম শুরু হয়নি।
নৌ দুর্ঘটনা প্রশমনকল্পে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপন হলে ২০ কিলোমিটার এরিয়ার মধ্যে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া যাবে। আর এর ওপর ভিত্তি করেই নৌপথে নৌযান চলাচল করতে পারবে। অবশ্য এখন ঢাকা থেকে দেয়া পূর্বাভাস বা রিপোর্টের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর তাই মাঝে মাঝে বড় বড় লঞ্চ দুর্ঘটনায় লাশের মিছিল দেখতে হয় জাতিকে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামছুল হক জানান, প্রকল্পটির কার্যক্রম গত ৮ বছর আগে শুরু হলেও কেন্দ্রের কার্যক্রম কবে নাগাদ শুরু হবে তা বলতে পারছি না।
তবে নৌ দুর্ঘটনা প্রশমনকল্পে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক মো. মজিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। তবে মন্ত্রণালয়ের কাছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্যে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে। অবশ্য এ কেন্দ্র থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বা রিপোর্ট পেতে অর্থাৎ কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে আরো প্রায় দুই বছর লাগবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
অপরদিকে নৌপথের চাঁদপুর অংশে প্রয়োজনের তুলনায় বয়া ও বিকন বাতি রয়েছে অনেক কম। যা রয়েছে তার মধ্যে আবার অনেক বিকন ও বয়া বাতি দীর্ঘদিন যাবৎ বিকল হয়ে আছে। এতে করে নৌপথে চলতে গিয়ে নদীতে পানি এবং পথের বিভিন্ন সমস্যা নির্ধারণে বিশেষ করে ডুবোচরের কারণে লঞ্চের সারেংরা পড়েন মহাবিপাকে।
অনুমান কিংবা ধারণার উপর ভর করেই নৌযান পরিচালনা করেছেন চালকরা। এছাড়া বয়া ও বিকন বাতির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ যেমন- সোলার, ব্যাটারি ও বাতি চুরি হয়ে যাচ্ছে। সোলার, ব্যাটারি ও বাতি এগুলোর একটি চুরি হলেই বয়া ও বিকন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। নিরাপত্তা কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বয়া ও বিকন বাতির ব্যাটারি, সোলার ও বাতি চুরি হয়ে যাওয়ায় আরো অনেক বয়া ও বিকন বাতি নিরাপদ লঞ্চ চলাচলে কোনো কাজে আসে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, জেলেরা এসব বয়া ও বিকন বাতির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়।
চাঁদপুরের জনগণ এখন নৌপথে যাতায়াত করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আরামদায়ক ও বিলাসবহুল লঞ্চে যাতায়াত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা চাঁদপুরবাসীর।
(এমজে/এএস/জুন ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test