লোহাগড়ায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে ১০ বাড়ি ভাংচুর-লুটপাট

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : লোহাগড়ায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে কামাল প্রতাপ গ্রামে ১০ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের হাতে মহিলাসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে নড়াইল সদরহাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ কোন আসামীকে আটক করতে পারে নাই।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামের আধিপত্য বি¯Íার করাকে কেন্দ্র করে কাশেম খাঁন সমর্থিত লোকজনদের সাথে একই গ্রামের আলি খাঁর লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে আলি আহম্মদ খাঁন সমর্থিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে লক্ষ্মীপাশা ইউপি সদস্য বাবুল খাঁন,সাহাদৎ খাঁন ও টুকু খাঁনের বাড়ি ভাংচুর করে।

বাড়ি ভাংচুরের খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরের দিন ৪ সেপ্টেম্বর সকালে লোহাগড়া থানা পুলিশের উদ্যোগে উভয় গ্রুপের নেতাদের উপস্থিতিতে থানায় এক শান্তি বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের নেতারা ওই এলাকায় কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন।

বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে এড়েন্দা-লুটিয়া সড়কের আমাদা এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আলি আহম্মদ খাঁন সমর্থিত নাইচ খাঁনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা দিয়ে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আজাদ মোল্যা(৪২)কে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। এরপর সন্তাসীরা পার্শ্ববর্তী কামালপ্রতাপ গ্রামে চড়াও হয়ে ওই গ্রামের ইউপি সদস্য সেকেন্দার মুন্সি,বজলু মোল্যা,তৌহিদ,শাহিদ,নাসির, সাফি মোল্যা,সজিব মোল্যা,আজমল কাজী,মনির,মিরানুর ও মিজানুর কাজীর বাড়ি ভাংচুর করে ব্যাপক লুটপাট করে। ভাংচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়ে সোহাগ মোল্যা(২৪),কলেজ শিক্ষার্থী সুলতানা খানম(২০),তহমিনা বেগম(৪০) হামলার শিকার হন। আহত সোহাগ কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হযেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তৌহিদ মুন্সি বাদি হয়ে নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এজাহার ভুক্ত কোন আসামীকে আটক করতে পারে নাই। আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে ভুক্তভোগী মহল অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী শান্তা, হোসনেয়ারা, মনোয়ারা ও সীমা খানম বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, ‘সন্ত্রাসীরা গ্রাম দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ভয়,আতংক আর নিরাপত্তা হীনতায়র কারনে নিজ বাড়ি ছেড়ে পরের বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি’। এব্যাপারে নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জুলফিকার আলী বলেন, কামাল প্রতাপ গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

(আরএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭)