E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘আ. লীগ এখন 'টেরোরিস্ট লীগ' হিসেবে বিবেচিত’

২০১৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৩:৫৫:৩৩
‘আ. লীগ এখন 'টেরোরিস্ট লীগ' হিসেবে বিবেচিত’

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন 'টেরোরিস্ট লীগ' হিসেবে বিবেচিত। কারণ এ দলের সভানেত্রীসহ সবাই তাদের লেজুড়বৃত্তিহীন অন্যদলকে এবং দলের নেতাদের মানুষ হিসেবে গণ্যই করেন না।

তিনি বলেন, সবকিছু সন্ত্রাসী স্টাইলে দমন করতে চান। সেই মনোভাব দেখিয়ে প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। পরে রোহিঙ্গাদের ঢল আসা যখন শুরু হয় তখনও সরকারের মনোভাব ইতিবাচক ছিল না। দুষ্কৃতকারী মনোভাব ছিল বলেই বিএনপির ত্রাণ বিতরণ আটকে দেয়। এখন মিয়ানমারের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচার পাওয়ার পর লোক দেখানো উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

রবিবার সকালে কক্সবাজারে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে রিজভী আরও বলেন, প্রথম মানবিক মনোভাব প্রকাশ করেন বেগম খালেদা জিয়া। যে মুহূর্তে প্রয়োজন ছিল তখন সরকার নির্লিপ্ত ছিল। সরকার নির্লিপ্ত না থাকলে এত রোহিঙ্গার প্রাণহানি হতো না।

জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, অবস্থা দেখে মনে হয় ট্রাম্পের কাছে অটোগ্রাফ নিতেই তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কাছে গিয়েছিলেন।

তিনি মিয়ানমারের সরকার প্রধান অংসান সু চির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার কারণটি খতিয়ে দেখবেন বলে অংসান সু চির ঘোষণাটি মানবতার সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। তার বক্তব্য দায়িত্ব এড়ানোর একটি অজুহাত। তার কথার ঢংয়ে মনে হয় রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার বলে কিছু নেই।

রিজভী বলেন, নিজ দেশে নির্যাতনের শিকার আর এখানে এসে মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে রোহিঙ্গারা। বেঁচে থাকার জন্য খাবারের প্রয়োজন আর সুস্থতার জন্য স্যানিটেশন। কোনোটাই পর্যাপ্ত নয়। ফলে প্রতিদিন অনেক নারী-শিশু মারা যাচ্ছে।

বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, সরকারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে দীর্ঘ ২৮ দিন চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি গেছে। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা সহায়তায় সেনাবাহিনী নামানোর ফলে এখন শৃংখলা ফিরছে।

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে বিএনপি ইচ্ছুক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভীষিকাময় পরিস্থিতির শিকার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় কক্সবাজার জেলা বিএনপি অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কারণ বিএনপি এটাকে জাতীয় সংকট হিসেবে দেখছে। আর জাতীয় সংকটে দলমত নির্বিশেষে সবার কাজ করা উচিত এবং সরকারেরও উচিত সবার সহযোগিতা নেয়া। কিন্তু সরকার সবকিছু সন্ত্রাসী কায়দায় করছে বলে অনেকের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর শারাফত আলী শফু, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক ইউসুফ বদরী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদ ১২শ নির্যাতিত রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (ড্যাব) কর্তৃক পরিচালিত জরুরি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তার টিমের সদস্যরা।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test