E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জেতার জন্য যোগ্য মেয়র প্রার্থী দেবে আ. লীগ : কাদের

২০১৭ ডিসেম্বর ০৫ ১৮:০৭:০২
জেতার জন্য যোগ্য মেয়র প্রার্থী দেবে আ. লীগ : কাদের

স্টাফ রিপোর্টার : ‘এত দ্রুত ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অশোভন’ বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে সরকারের কোনো তোড়জোড় নেই। নিয়ম অনুযায়ী, ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ কোনো ইন্টারফেয়ার করেনি। এটা আওয়ামী লীগের বিষয়ও না। নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনুযায়ী নির্বাচন হবে। বিএনপির হয়ত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই, তাই তারা এ ধরনের কথা বলছে। তবে এই নির্বাচনে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ ‘উইনেবল’ ক্যান্ডিডেট দেবে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে একজন রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। আখি মণি নামের জন্মগত প্রতিবন্ধী রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

‘এবার সরকারকে আর সুযোগ দেয়া হবে না’ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এ মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) কখন যে কী বলে তার ঠিক নেই। একবার বলে যে কোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাবে। আবার বলে খালেদা জিয়ার সাজা হলে যাবে না। কোনটা সঠিক? খালেদা জিয়ার সাজা তো সরকার বা আওয়ামী লীগ দেবে না। এটা আদালতের ব্যাপার। আর নিম্ন আদালতে সাজা হলে তো উচ্চ আদালত আছে। আপিল করার সুযোগ আছে, রিভিউও করতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন গণতান্ত্রিক পক্রিয়া। তারাও (বিএনপি) চায়, আমরাও চাই। আমি অনেক বার বলেছি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন আমরা চাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন চাই না। যেটা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি হয়েছে। তাহলে আজকাল ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত’ এটি শুনতে হত না। তখন আমরা চেয়েছি তারাও আসুক। আমাদের নেত্রী তাদের গণভবনেও ডেকেছে। তারা হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে দিছে। এতে গণতন্ত্রের কি দোষ?’

‘আওয়ামী লীগ একদিকে ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের পূনর্বাসনে অস্থায়ী ক্যাম্প করছে, অপরদিকে তাদের প্রত্যাবাসনের চুক্তি করেছে’ আসলে তারা চায় কী? এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগও প্রত্যাবাসন চাইছে। তবে এর একটি প্রক্রিয়া আছে, যেটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। উখিয়া টেকনাফের জনসংখ্যা ৪ লাখ। এখন সেখানে মিয়ানমার থেকে এসে আরও ৭ লাখ মানুষ যুক্ত হয়েছে। সেখানে তাদের তাবুর নিচে রাখা হয়েছে। এতে পরিবেশ ও প্রকৃতি হুমকির মুখে। তার উপর তারাও ধৈর্য হারা হচ্ছেন। দীর্ঘদিন কীভাবে সেখানে রাখবো?’

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test