E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘অপপ্রচারে সরকার কী অর্জন করতে চান’ 

২০১৭ ডিসেম্বর ০৯ ১৫:০৯:০৭
‘অপপ্রচারে সরকার কী অর্জন করতে চান’ 

স্টাফ রিপোর্টার : সৌদি আরবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিপুল সম্পদ ধরা পড়ার তথ্য ছড়িয়ে সরকার কী অর্জন করতে চায় সে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ প্রশ্ন রাখেন বিএনপি নেতা।

বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের মধ্যপ্রাচ্যে অর্থ পাচারের যে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী তুলেছেন তাকে ভিত্তিহীন দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করে, অপপ্রচার চালিয়ে কী অর্জন করতে চান? এই ধরণের কু রাজনীতি করে কী অর্জন করতে চান?’

গত কয়েকদিন ধরে কানাডাভিত্তিক টেলিভিশনের প্রোগ্রাম দ্য ইন্টারন্যাশনালের নামে একটি ভিডিও ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে দাবি করা হচ্ছে সৌদি আরব, কাতারসহ ১২ দেশে খালেদা জিয়া পরিবারের মোট ১২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। খালেদা জিয়া নিজে সৌদি আরবে একটি শপিং মল এবং একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন এবং কাতারে আরও একটি বাণিজ্যিক ভবনের মালিক তার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।

এই ভিডিওতে থাকা তথ্য দেশের দুটি টেলিভিশন এবং দুটি পত্রিকা ছাড়া মূলধারার কোনো গণমাধ্যম প্রচার করেনি। গত বৃহস্পতিবার গণভবনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ জন্য গণমাধ্যমের তীব্র সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই অর্থপাচারের বিচার হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেখানে সাংবাদিকদের একহাত নিলেন। খুব বকাঝকা করলেন। কী কারণে? বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের লোকজন নাকি সৌদি আরবসহ আরো কয়েকটি দেশে ১২ বিলিয়ন সম্পদ আছে এমন খবর বেরুল কিন্তু আপনারা তা ছাপলেন না কেন? বলেছেন, বিএনপি কি রসগোল্লা মুখে দিয়ে দিছে আপনাদের, নাকি শপিংমলের শপিং কার্ড দিয়েছে?’

‘কিন্তু আমরা খবর শুনে সৌদি আরবে যোগাযোগ করেছি। যে এমন খবরের কোনো সত্যতা বা ভিত্তি আছে কি না? কিন্তু ভিত্তি নেই।’

একই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়া বা আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেন। তার এই অবস্থানেরও সমালোচনা করেছেন ফখরুল।

‘আপনারা আবারও একা একা নির্বাচন করতে চান। বিএনপি নির্বাচনে আসলে নাকি খবর হয়ে যাবে। তাই বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। সেজন্য যা যা করার তাই করা হচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ ৫ জানুয়ারির মতো আর নির্বাচন হতে দেবে না। সে নির্বাচন আপনার অধীনে নয়, নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘মানুষকে আন্ডারস্টিমেট করবেন না। মানুষ সবকিছু মেনে নেবে তা কিন্তু না। এ দেশের মানুষই ৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটিয়েছিল আন্দোলনের মাধ্যমে। তাই মানুষকে আন্ডারস্টিমেট করবেন না।’

গণতন্ত্রের জন্য আওয়ামী লীগ একসময় ত্যাগ স্বীকার করেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্য এই দলটি যখন ক্ষমতায় আসে তখনই ভিন্ন চেহারা প্রকাশ পায়। তা হলো ফ্যাসিস্ট চেহারা। আওয়ামী লীগই সব রাজনৈতিক দল বন্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিল। চারটি পত্রিকা রেখে বাকিসব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল।’

শুধু বিএনপি বা ২০ দল নয়, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test