E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আ.লীগ নয় জাপাতেই ফিরলেন ফরাজী

২০১৭ ডিসেম্বর ২৩ ১৮:৪১:০১
আ.লীগ নয় জাপাতেই ফিরলেন ফরাজী

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার গুঞ্জন মিথ্যা প্রমাণ করে পুরনো দল জাতীয় পার্টিতে ফিরলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবার লাঙ্গল প্রতীকে ভোট করতে চান তিনি।

শনিবার সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে ফুল দিয়ে পুরনো দলে ফেরেন ফরাজী।

দলের মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের মাঝামাঝি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ১৪ জন সংসদ সদস্যের আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার বিষয়ে খবর প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিদের মধ্যে ছিলেন রুস্তম আলী ফরাজী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা ঊষাতন তালুকদার।

তবে পরে ফরাজী ও ঊষাতনের ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেয়ার তথ্য সত্য প্রমাণ হয়নি। আর জাতীয় সংসদে বিভিন্ন বিল ও প্রস্তাবে সরকারি দলের বিরুদ্ধেই বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন ফরাজী।

ফরাজী বলেন, ‘আগে আমি জাতীয় পার্টির রাজনীতি করতাম। এই মুহূর্তে দেশে এরশাদ সাহেব পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করেন। উনি (এরশাদ) একজন ভদ্র মানুষ, তাই জাতীয় পার্টিতে ফিরে আসলাম।’

এরশাদের ব্যবহার মুগ্ধ করেছে জানিয়ে ফরাজী বলেন, 'নির্বাচন আসন্ন, জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। তাই বাইরে না থেকে দলে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই।'

এলাকাবাসীর মতামত নিয়েই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়ে ফরাজী বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন আসন্ন তাই দেখলাম বাইরে থেকে কী লাভ? দলে যোগ দেই। এজন্য এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন সময় আমার ভোটার-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলি। তারাও আমায় উৎসাহ দিয়েছেন।’

ফরাজী মঠবাড়িয়ায় প্রথম নির্বাচনে অংশ নেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তবে ১৯৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি। তবে ৯০ সালের উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিতে যান।

পরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন ফরাজী। একবার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এবং পরে ২০০১ সালে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পিরোজপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপিতে নানা টানাপড়েনের সময় ফরাজী সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত হন। পরে তিনি নবম সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন, কিন্তু হেরে যান আওয়ামী লীগের কাছে। তখন সেখানে তিনি দ্বিতীয় হন এবং বিএনপির প্রার্থী হন তৃতীয়।

এরপর আর বিএনপিতে ফেরেননি ফরাজী। আর ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের বর্জনের মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেনকে হারিয়ে আবার সংসদ সদস্য হন তিনি।

ফরাজীকে জাতীয় পার্টিতে স্বাগত জানিয়ে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, রংপুরে প্রমাণ হয়েছে জাতীয় পার্টি এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সিটি নির্বাচনের এই ফল সারা দেশেই দলের নেতা-কর্মীদেরকে উদ্বুদ্ধ করবে এবং তার দলই আগামীতে ভোটে জিতে সরকার গঠন করবে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test