E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়রের ওপর হামলায় সুজন’র উদ্বেগ

২০১৮ জানুয়ারি ১৭ ১৭:২৫:১১
নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়রের ওপর হামলায় সুজন’র উদ্বেগ

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ শহরে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন সংগনটি। বিজ্ঞপ্তি।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ফুটপাত নগরবাসীর পায়ে হাঁটার পথ। ফুটপাতে দোকান বসিয়ে নাগরিকদের চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বেআইনি। তাছাড়া ফুটপাত হকারদের দখলে থাকলে সাধারণ মানুষকে মূল সড়কে নেমে আসতে হয়। ফলে সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজট। সঙ্গত কারণেই ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত থাকা উচিত। আর ঔচিত্যবোধ ও আইনি অবস্থান থেকে এই যৌক্তিক কাজটি করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী হামলার শিকার হন।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী তাঁর ওপর হামলার জন্য সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে দায়ী করেছেন এবং একই সাথে বলেছেন যে, একনেকের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে অবিলম্বে নির্দিষ্ট স্থানে একটি মার্কেট করে হকারদের পুনর্বাসেনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান হকারদের উচ্ছেদের আগে তাদের পুনর্বাসনের ওপর জোর দেন এবং এই ঘটনার জন্য সেলিনা হায়াত আইভীকে অভিযুক্ত করেন। আমরাও মনে করি যে, হকারদের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখা উচিত; যা সেলিনা হায়াত আইভী ও শামীম ওসমান উভয়ের বক্তব্যেই উঠে এসেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া হলে, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তাদের ফুটপাতে বসার আহ্বান জানান এবং হকাররা ফুটপাতে বসে পড়ে। গতকাল ১৬ জানুয়ারি, বিকেল ৪টার দিকে নগর ভবন থেকে মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর নেতৃত্বে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ চার-পাঁচশত মানুষ ফুটপাত দিয়ে চাষাঢ়ার দিকে হাঁটতে থাকেন।

এদিকে চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারের আশে-পাশে কয়েক হাজার হকার জড়ো হয়। মেয়রের সাথে থাকা লোকজন সায়াম প্লাজার সামনে আসা মাত্র তাদের ওপর বৃষ্টির মত ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এ অবস্থায় মেয়র পায়ে আঘাত পান এবং রাস্তায় বসে পড়েন। তার সমর্থকরা তাকে ঘিরে রেখে ইটের আঘাত থেকে রক্ষা করে। এরপর দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায় এবং অনেকে আহত হন।

উল্লেখ্য, একজন আগ্নেয়াস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে মেয়রের সাথে থাকা লোকজনের ওপর গুলি ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে এবং এক পর্যায়ে তিনি গণপিটুনীরও শিকার হন। এদিকে মেয়রের সাথে লোকজনের বিরুদ্ধেও হকারদের চৌকি ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

পরিশেষে, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমরা এই মর্মে উদাত্ত আহ্বান জানাতে চাই যে, সরকারের নীতি হওয়া উচিত 'দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন'। সরকারের নীতি হওয়া উচিত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।

(বিএইচ/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test