E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খালেদা হয়তো খালাসও পেতে পারেন : হাছান

২০১৮ জানুয়ারি ২৬ ১৪:৩৪:৫৪
খালেদা হয়তো খালাসও পেতে পারেন : হাছান

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন আদালত স্বাধীন ছিল না বিধায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা মনে করেন তাদের সময় আদালত যেভাবে কাজ করতো এখনও মনে হয় আদালত সেভাবেই কাজ করে। এখন আদালত স্বাধীন। বেগম খালেদা জিয়া হয়তো খালাসও পেতে পারেন।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আদালতের রায়ে যদি খালেদা জিয়ার সাজা হয়, তার বিচারের রায়ে যদি দোষী সাব্যস্ত হয়, দেশে নাকি আগুন জ্বালাবে বিএনপি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, রিজভী সাহেব ও বিএনপির নেতাদের বলতে চই আপনারা দেশে অতীতেও আগুন জ্বালিয়েছেন। সেই আগুনে আপনারা জ্বলেছেন।

আবারও যদি আগুন জ্বালানের চেষ্টা করেন তাহলে সেই আগুনে আপনারাই জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন, বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আদালত স্বাধীন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীন বিদায় আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমপিরা কারাগারে আছেন। মন্ত্রীদের আদালতে গিয়ে হাজিরা দিতে হয়। এমনকি মন্ত্রীদের আদালতে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচার হয়। ফাঁসি হয়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে তখন একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা, বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে যাওয়া আসার ঘটনা, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য, রিজভী আহমেদের বক্তব্য সবগুলো একই সূত্রে গাঁথা।

হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের নামে একটার পর একটা ভিসি কার্যালয়ের গেট ভাঙচুর করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, একটি পত্রিকা সেটাকে দোষ হিসেবে দেখছে না। এরপরও ঘটনাটি বড় করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা প্রথমে ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করলো, ভিসিকে অপদস্থ করলো এবং ভিসি কার্যালয়ের তিন তিনটি গেট ভাঙচুর করলো ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের যারা লাঞ্ছিত করলো তাদের অপরাধ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। আমরা কোনো ঘটনাকেই সমর্থন করি না।

হাছান মাহমুদের দাবি, যারা প্রথমে গেট ভাঙচুর করেছে, ভিসিকে অপদস্থ করেছে তাদের অপরাধ আড়াল করার জন্য একটি পক্ষ ছাত্রলীগের দোষ খোঁজার চেষ্টা করছে। ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি পক্ষ সবসময় তৎপর থাকেন। এই ঘটনার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম অালমগীর সাহেব আরাফাত রহমান কোকোর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম অালমগীরকে আর ভদ্রলোক বলতে পারি না। তিনি ভদ্রলোকের বেশ ধরে যে শব্দগুলো উচ্চারণ করেছেন আমি সেই শব্দগুলো উচ্চারণ করতে পারছি না। তিনি যে ভাষায় কথা বলেছেন এটি কোনো ভদ্র লোকের ভাষা নয়।

আজকের সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার বিচারের রায় হবে। রায়ের আগে বা পরে দেশে বিশৃঙ্খলা চালানোর অপচেষ্টা করা হবে। সরকারি দলের নেতাকর্মী হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। জনগণকে সাথে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেরকে প্রতিহত করতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এ সময় বক্তব্য রাখেন।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test