E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মামলার রায় খালেদার বিরুদ্ধে গেলে জনগণ দায়িত্ব নেবে : গয়েশ্বর

 

২০১৮ জানুয়ারি ২৬ ১৬:০১:১৯
মামলার রায় খালেদার বিরুদ্ধে গেলে জনগণ দায়িত্ব নেবে : গয়েশ্বর
 

স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গেলে জনগণ তার ‘দায়িত্ব’ হাতে তুলে নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বলেছেন, সেদিন কোনো কিছু ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না তারা।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ঘোষণার পর দিন শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য এই হুঁশিয়ারি দেন।

খালেদা জিয়ার রায়ের তারিখ ঘোষণার পরই বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তার দলের নেত্রীকে জেলে নেয়ার চেষ্টা হলে দেশে আগুন জ্বলবে।

পরদিন গয়েশ্বর বলেন, ‘সেদিন (৮ ফেব্রুয়ারি) নেতিবাচক কোন হয় তবে এই সরকারের পতন ত্বরান্বিত হবে। সময় বলে দেবে কারা রাজপথে থাকবে। কোন কিছু যে ঘটবে না তার নিশ্চয়তা দিতে পারি না।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রতি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চান শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়াকে নিয়ে নিয়ন্ত্রিত আদালত কর্তৃক যদি শেখ হাসিনা তার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চান, তাহলে জনগণই তার দায়িত্ব নেবে। তার জবাব শেখ হাসিনা পাবেন।’

একই দিন রাজধানীতে এক আয়োজনে বিএনপিকে রায় নিয়ে বিশৃঙ্খলা না করতে হুঁশিয়ার করে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করবে।...আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে আগের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করা চলবে না। তারা জনগণের বন্ধু, তারা পেশাদার পুলিশ। কাজেই বিশৃঙ্খলা কিংবা ধ্বংসাত্মক কিছু ঘটলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে সাজা সাজাকে ভয় পান না। মৃত্যুর জন্য যারা সব সময় প্রস্তুত, তাদের আবার কিসের সাজার ভয়?’।

‘জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, এখনও পুরো দেশটা একটা বৃহত্তর কারাগারের মধ্যেই আছি।’

গণতন্ত্র ও শেখ হাসিনা শব্দ দুটি সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘যেখানে শেখ হাসিনা আছেন সেখানে গণতন্ত্র নেই, যেখানে গণতন্ত্র আছে সেখানে শেখ হাসিনা নেই।’

‘তবে খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্র শব্দ দুটি একে অপরের সঙ্গে জড়িত। যেখানেই খালেদা জিয়া সেখানেই গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের প্রশ্নের বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন। গণতন্ত্র ছাড়া একটি দেশ চলতে পারে না। সুতরাং খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এই দেশের জনগণের জন্য অপরিহার্য।’

একই আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘খালেদা জিয়ার গায়ে যদি একটা ফুলের আচড়ও পরে তখন বাংলাদেশ গর্জে উঠবে।’

‘আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে ফয়সালার ডেট। ফয়সালা না হলে রাজনৈতিকভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ গর্জে উঠবে।’

খালেদা জিয়াকে সাজা দিলেও সরকারের কী লাভ হবে-এমন প্রশ্ন তুলে দুদু বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে একটাই কথা বলব, শেখ মুজিবকেও পাকিস্তানী বাহিনী সাজা দিয়েছিল। তাতে তিনি কি ছোট হয়ে গিয়েছিলেন? না, তিনি জাতির বীর সন্তান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘কি করে ভাবলেন বিএনপিকে চাপ দিয়ে নির্বাচনে নেবেন? বিএনপি যদি ওই ধরনের নির্বাচনে যায় তবে সে দিন বিএনপির মৃত্যু হবে।’

একটি সাজা দিলেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন ঠেকানো যায় না মন্তব্য করে দুদু বলেন, ‘আমাদের প্রথম পছন্দ অনুরোধ, আলোচনায় আসেন। দ্বিতীয় পছন্দ রাজপথের আন্দোলন। রাস্তায় একবার নামলে পরাজিত না করা পর্যন্ত রাস্তা থেকে উঠব না।’

বিএপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা নাছির উদ্দিন হাজারী, সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ এই আলোচনায় অংশ নেন।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test