E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ফখরুলের ভোট বেড়েছে ’

২০১৮ মার্চ ৩০ ১৭:৪১:২৯
‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ফখরুলের ভোট বেড়েছে ’

স্টাফ রিপোর্টার : ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিবের ভোট বেড়েছে বলে মনে করেন মওদুদ আহমদ।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পরদিন শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা এই কথা বলেন।

আগের দিন ফখরুলের নিজের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এক জনসভায় মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম দিন রাত কথা বলতে বলতে গলা ফুলিয়ে… মিথ্যা কথা বলতে বলতে গলা খারাপ হয়ে যায়, বারবার গলায় চিকিৎসা করাতে হয়।’

‘মিথ্যা কথা বলার একটা সীমা আছে। সারা দিন মিথ্যা কথা বললে তো, এত মিথ্যা কথা বললে আল্লাহও নারাজ হয়।’

এর প্রতিক্রিয়ায় মওদুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভোট বেড়েছে। ফখরুল ইসলামের ভোট বৃদ্ধি পাওয়া আমি ঈর্ষাবোধ করছি।’

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপি নেতা। ‘ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ডেমেক্রেটিক মুভমেন্ট নামের একটি সংগঠন।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার পরও মওদুদ ভোট বৃদ্ধি বিষয়ে একটি তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। তার দাবি, খালেদা জিয়া যতদিন কারাগারে থাকবেন, ততদিন ১০ লাখ করে ভোট বাড়বে তার।

প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে ঠাকুরগাঁওয়ের জনসভা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘তিনি নৌকায় ভোট চেয়েছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেছেন। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও নির্বাচনী কার্যবিধির পরিপন্থী। তিনি দলের সভাপতি হিসেবে নিজ খরচে ভোট চাইলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু সরকারি খরচে তিনি ভোট চাইতে পারেন না।’

‘সুষ্ঠু ভোটে আ.লীগের পরাজয় অবধারিত’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগের পরাজয় অবধারিত বলেও মনে করেন মওদুদ আহমেদ। আর বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে মনে করেন তিনি।

বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জানিয়ে মওদুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি আমাদের প্রথম এজেন্ডা, সেই সাথে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

‘তিন নম্বর হলো আগামী নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা। আর এজন্য আমাদের রাস্তায় নামতে হবে, রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোন বিকল্প নেই্।’

বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে সরকার স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে বলেও মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। বলেন, ‘সব দলকে জনসভার সুযোগ দেয়া হলেও বিএনপিকে অনুমতি দেয়া হয় না। আমরা তিনবার জনসভা করতে চেয়েছি, অনুমতি দেয়া হয়নি। এজন্যই বিদেশি সংস্থা এই সরকারকে স্বৈরাচারী সরকার বলেছে। তারা বাংলাদেশকে উগান্ডা, নিকারাগুয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করেছে।’

ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/মার্চ ৩০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test