E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বড় হুজুরদের দুনীর্তির খোঁজ করলে বিপদ : ফখরুল

২০১৮ এপ্রিল ০৬ ১৭:২৫:০৮
বড় হুজুরদের দুনীর্তির খোঁজ করলে বিপদ : ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে ‘বড় হুজুরদের’ দুর্নীতি খুঁজতে গেলে কেউ দেশে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবশ্য এই হুজুর কারা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলার আসামি শফিক রেহমানের প্রসঙ্গটি টেনে ফখরুল বলেন, ‘বড় হুজুরদের দুর্নীতি খুঁজতে গেলে সে আর দেশে থাকতে পারবে না। শফিক রেহমানের মতন সত সাংবাদিক আওয়ামী লীগের দুর্নীতি খুঁজতে যাওয়ার কারণে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে।’

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা আয়োজিত আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন ফখরুল।

বিএনপির আট নেতার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরুর বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কিছু নেতার ব্যাংক একাউন্ট থেকে সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে দুদক। তারা ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছে নেতাদের ব্যাংক একাউন্টের বিস্তারিত চেয়ে। কিন্তু এমন মানুষের ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে যাদের ওই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট নেই।’

‘সরকারি দলের একটা থানা পর্যায়ের বা জেলা পর্যায়ের নেতাদের যে সম্পদ হয়েছে তার আশপাশে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। কিন্তু সরকারি দলের নেতাদের নামে তদন্ত করার সময় কোথায় দুদকের। তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিরোধী দলের নেতাদের বিষয়ে তদন্ত করার।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, ‘আজ দেশের সকল ক্ষমতা একজনের কাছে। যাদের হাতে থাকে বন্দুক। তাদের প্রশাসনের হাতে বন্দুক। ক্ষমতাও তাদের হাতে।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের কাছে দেশের কোনো মূল্য নাই। দেশের কথা চিন্তা করা তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়।'

সরকার রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বলে ‘মিথ্যা প্রচারণায় বিএনপি ভাঙার’ চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘আমাদের নেত্রী কারাগারে আছেন। তাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এমন সময় বিভিন্নভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।’

‘তারা কতো বড় দুর্বল। দল ভাঙার চেষ্টা করে। আমাদের বিষয়ে মিথ্যা কথা লেখে সোশাল মিডিয়াতে। এই মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।’

‘কিন্তু ইতিহাস ‘ইতিহাস বলে এই সব মিথ্যা প্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায় না।’

খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচন করবে না জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার কথা বলি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হল আমাদের এক নম্বর দাবি। এক নম্বর শর্ত। তাকে আগে মুক্তি করতে হবে। তার পর অন্যকিছু নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে কোন কিছুর আলোচনা হবে না।’

‘বাংলাদেশে এখন কঠিন সময় চলছে। ১৯৭১ সালে যখন যুদ্ধ চলছিল তখন একটি নাটক খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। নাটকটির নাম ছিল, এখন দুঃসময়। সেই দুঃসময় এখন আরও অনেক বেশি। এতো বড় দুঃসময় এর আগে কখনো আসেনি এদেশে।’

‘অনেকেই মনে করেন আমরা বিরোধীদল করি, এই বিরোধিতার কারণেই হয়তো এগুলো বলে থাকি। কিন্তু আসলে তা নয়। তখনের চেয়ে এখন আরো বেশি দুঃসময় চলছে।’

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের মানুষের ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষকে হাতের পুতুল বানিয়ে ফেলেছে।

‘তারা মানুষকে গুম করে। মনে একটু দয়া হলে কাউকে ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দেয়ার সময় বলে দেয়- খবরদার একটা কথাও বলবে না। আর মুক্তি পেয়ে লোকগুলো মানুষের ভেতর আসলে বলে কিছু মনে নেই। কোথায় ছিলাম জানি না। চোঁখ বাধা ছিল।’

‘দেশকে রক্ষা করতে হলে এসবের প্রতিবাদ করতে হবে। রাজপথে সোচ্চার হতে হবে।’

জাগপা সভাপতি রেহানা প্রধানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিনের আমির মাওলানা মো. ইসহাক, এলডিপি মহাসচিব রেদয়ান আহমেদ, জাগপা সাধারণ সসম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test