E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের এখতিয়ার নেই ইসির : কাদের

২০১৮ এপ্রিল ০৮ ১৮:১৮:২৭
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের এখতিয়ার নেই ইসির : কাদের

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কাজ করবে। কিন্তু সেনাবাহিনী থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই ইসি চাইলেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে পারবে না।

রবিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটির বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

এর আগে সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, 'বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে হলে সেনা মোতায়েন অত্যাবশ্যক। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা, ইভিএম বাতিল, সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানাচ্ছি।'

অন্যদিকে সিরডাপ মিলনায়তনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ আয়োজিত 'বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন : সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আগের নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়ন হয়েছে। তাই প্রয়োজন হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও সেনা মোতায়ন হতে পারে।

এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (নির্বাচন কমিশন) সরকারকে শুধু অনুরোধ করতে পারবে। সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন মনে করলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে। এ বিষয়ে সংবিধানে সব কিছু বলা আছে। কেউ চাইলেও সংবিধানের বাইরে যেতে পারবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হবে, পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও এপিরা কেন পারবে না। এ বিষয়ে আমরা ইসির সঙ্গে বসবো।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি নেতারা বেগম জিয়াকে নিয়ে একেক সময় একেক রকম বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছিলেন। তাকে জোর করে হাসপাতালে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি হাসপাতালে যাওয়াতে অবশ্য একদিক থেকে সুবিধা হয়েছে। জাতি দেখেছে তিনি কতটুকু অসুস্থ।

তিনি বলেন, আমার তো মনে হয় তিনি জেলে যাওয়ার আগে যতটুকু সুস্থ ছিলেন, জেলে যাওয়ার পর আরও বেশি হাস্যোজ্জ্বল ও সুস্থ মনে হয়েছে। তিনি সুস্থ থাকুক আমরা চাই।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে ছুটে যায়। তাদের এ কাজ জাতীয় সম্মানের জন্য মোটেই শুভ নয়।

বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি আপনাদের নালিশ থেকেই থাকে জনগণের কাছে করুন।

উপ-কমিটির দায়িত্ব তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাঝে মাঝে এমন কিছু ইস্যু আমাদের সামনে চলে আসে, যেখানে দলীয় অবস্থান পরিস্কার করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। উপ-কমিটির দায়িত্ব থাকবে এসব ইস্যুতে পার্টির বক্তব্য তুলে ধরা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপ-কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, প্রলয় সমদ্দার, কান্তি দাশ প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test