E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নির্যাতিত যুবলীগ নেতা কাশেমের কথা

২০১৮ এপ্রিল ০৮ ২১:১২:২৮
নির্যাতিত যুবলীগ নেতা কাশেমের কথা

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে যুবলীগের রাজপথের লড়াকু সৈনিক ৩৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক যু্গ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম গাজীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আজও পিছু ছাড়ছে না। আওয়ামীলীগের পরপর দুই মেয়াদের ক্ষমতাও প্রায় শেষ পর্যায়ে, কিন্তু আবুল কাশেম গাজী আজও একইভাবে নির্যাতিত, তা আবার নিজের দলের নেতাদের দ্বারা!

২০০৫ সাল। তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে খিলগাঁও থানার তৎকালীন ওসি তরিকুল ইসলামসহ পাচঁ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা করার সাহস দেখিয়েছেন ৩৪ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম গাজী। সে সময় বিএনপির সঙ্গে আঁতাতকারী আওয়ামীলীগ নেতাদের পথের কাঁটা হয়ে যান তিনি। মামলা করেও যেন ফেঁসে গেলেন আবুল কাশেম গাজী! এরপর শুরু হয় তার উপর বিভিন্ন কেরামতিতে হয়রানি, ঘরে বাইরে সব খানেই যেন অপশাসনের ছায়া, নিস্তার নেই কোথাও!

রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো আবুল কাশেম গাজীর; তাও আজ নেই। অপশাসনের কারণে পরিবার নিয়ে পালিয়ে থেকে ভেবেছিলেন, হয়তো আওযামীলীগ ক্ষমতায় এলে সব ঠিক হয়ে যাবে তার! কিন্তু তার ভাবনা সঠিক হয়নি।

২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলেও আবুল কাশেম গাজীর ভাগ্যের আর পরিবর্তন হয়নি। শুরু হলো আওয়ামীলীগের সুযোগ সন্ধানী নেতাদের চক্রান্তে আবুল কাশেম গাজীকে দলের কর্মকান্ড থেকে দূরে ঠেলে দেযার নতুন ষড়যন্ত্র! এবার আরেকটি অজানা কারণে তাকে বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। তাকে জেলে রেখেই দিয়ে আয়োজন করা হলো ৭৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সম্মেলন! এক যুগের রাজপথের দুঃসাহসী, সংগ্রামী, ত্যাগী ও অভিজ্ঞ এই নেতাকে করা হলো পদবঞ্চিত। জেল থেকে বের হয়ে আবার রাজপথে নেমে আসেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ৭৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ৭৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপর নগর সভাপতির নির্দেশনা থাকলেও, আবুল কাশেম গাজীকে তার পদটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। বরং তার পদ অন্য কাউকে দিয়ে দিতে নানান তালবাহানা বলে ধারনা করছেন তিনি। এ অবস্থায় তিনি এখন দিশেহারা হয়ে অনিশ্চিত জীবনযাপন করছেন। কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলে ও স্কুল পড়ুয়া এক কন্যা সন্তান ও তার স্ত্রীকে নিয়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে চলেছেন প্রতি নিয়ত। অথচ এই আবুল কাশেম গাজী যখন দলের কাজ করতে গিয়ে পুলিশি নির্মম নির্যাতনের শিকার হন; তারপরই যুবলীগের এক সভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় তার বাম পা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর নেন এবং তাকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করে সান্ত্বনা ও পরামর্শ দেন। তৎকালীন যুবলীগের নীতি-নির্ধারকরা ওই সভায় অপুস্থিত থাকলেও কাশেম গাজীর প্রতি রাখা হয়নি কোন খেয়াল, দেয়া হয়নি দলের কোন সুযোগ সুবিধা।

আবুল কাশেম গাজীর তারপরও কোন ক্ষোভ নেই নিজ দলের প্রতি। তিনি সম্মানের সাথে যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি পদটি পেয়ে দলের হয়ে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চান। সেই সঙ্গে পুলিশের মিথ্যা মামলা, কোন রকম হামলা কিংবা প্রশাসনিক মিথ্যা হয়রানী থেকে রেহাই পেতে চান তিনি। স্বাভাবিক জীবনযাপন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে, স্ত্রী সন্তানদের সাথে বাকী জীবন অতিবাহিত করতে চান কাশেম গাজী। এখনও তার আস্থা ও শেষ ভরসা বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি তার জীবদ্দশায় একবার হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চান; খুলে বলতে চান মনের সে সব কথা, যা কোন নেতা শুনেও শোনেননি, দেখেও দেখেননি!

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test