E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাদক সম্রাটদের নাম প্রকাশের দাবি

২০১৮ মে ২২ ১৮:০৩:১৭
মাদক সম্রাটদের নাম প্রকাশের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : মাদক নির্মূলের দাবিতে বিচারবহিরর্ভূত হত্যা চলছে অভিযোগ করে ‘চুনোপুটিদের’ না মেরে মাদকের মূল ‘সম্রাটদের’ নাম প্রকাশ করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির এক নেতা।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনায় এই দাবি করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এর আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

গত ৪ মে মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরুর পর বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। এর মধ্যে গত দুই দিনের ঘটেছে অন্তত ২১টি মৃত্যু।

এসব মৃত্যুর প্রতিটি ক্ষেত্রেই র‌্যাব বা পুলিশের বর্ণনা একই রকম। সন্দেহভাজন মাদকের কারবারিদের সহযোগীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ করলে দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

বিএনপি এই কথিত বন্দুকযুদ্ধের তীব্র সমালোচনা করে তা বন্ধের দাবি জানিয়েছে। তারা প্রচলিত আইনে আসামিদের বিচারের আহ্বান জানিয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মাদকের বিস্তারের জন্য আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও তার মতো লোকদের দায়ী করেছেন।

খন্দকার মোশাররফও বদিকেই ইঙ্গিত করে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘মাদকের সম্রাটরা সবাই আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা ও কর্মী। সরকারের এমপি, যাকে সারা দেশের মানুষ চেনে মাদকের সম্রাট হিসেবে। তাকে ধরার পরিবর্তে ফুলের মালা পরানো হয়েছে।’

মাদকবিরোধী এই অভিযানের অন্য উদ্দেশ্য আছে দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এর মাধ্যমে বিরোধীদেদের দমনের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড দিয়ে মাদক নির্মূল হবে না। এ দেশে আইন আছে। আইনের অধীনে বিচার করা য়ায়।’

এ দেশে কোনো ইয়াবা তৈরি হয় না উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, ‘সরকার যদি আন্তরিক হতো তাহলে সীমান্ত দিয়ে দেশে মাদক প্রবেশ করতে পারত না।মূলত এর সঙ্গে সরকারের এমপিরা জড়িত। আগে তাদের ধরুন।’

‘কিন্তু সরকার তা করবে না। এটি আসলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের মাঝে ভয় ভীতি সৃষ্টি করাই লক্ষ্য।’

বিএনপি, খালেদা জিয়া ও জনগণকে বাইরে রেখে নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য বলেও মনে করেন মোশাররফ। বলেন, ‘সরকারের এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যাবে না, জনগণ তা মানবে না।’

‘এই স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তা করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তাকে মুক্ত করে তবেই আমরা একটি নির্বাচন করব এবং সে নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি বিজয়ী হয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’

সরকার যদি ২০১৪ এর মতো নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয় তাহলে জনগণ রাস্তায় নেমে তাদের সামনে দাঁড়াবে বলেও সতর্ক করেন মোশাররফ।

বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএনপির স্ব-নির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

(ওএস/এসপি/মে ২২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test