E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘বাজেটের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে’

২০১৮ জুন ০৭ ১৬:২৪:০৮
‘বাজেটের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে’

স্টাফ রিপোর্টার : প্রস্তাবিত বাজেটের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান দলের এই জ্যেষ্ঠ নেতা। ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের নব গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাদের সঙ্গে সেখানে যান ড. মঈন খান।

তিনি বলেন, আজকে বাজেট দেয়া হচ্ছে ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকার। যেটা গত বছেরর চেয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা বেশি। আমি বাজেট সম্বন্ধে এখানে বিস্তারিত বলতে চাই না। আগে বাজেট পেশ করা হোক। বাজেটের ওপরে আমরা প্রয়োজনে রিঅ্যাকশন দেব। তার চুলচেরা বিশ্লেষণ আমরা করবো।

মঈন খান বলেন, আমি সংক্ষেপে শুধু এইটুকু বলতে চাই। আজকে যে সরকার বাজেট দিচ্ছে। সেই সরকারের বাজেট দেয়ার কোনো এখতিয়ার নাই। বাজেট দেয়ার নামে তারা জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করছে। ১০০ কোটি টাকার প্রজেক্টকে তারা ১০০০ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট বানিয়ে সেখান থেকে লুটপাট করছে। বাজেটের আকার দিয়ে কিছু বোঝা যায় না। বাজেটের আকার বাজেটের মান সম্বন্ধে কিছু বলে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাজেটের মান অত্যন্ত নিম্ন। আপনারা দেখেছেন যে, ঢাকা শহরে যেসব বড় বড় প্রজেক্ট নেয়া হয়েছে। এমনকি পদ্মা সেতু প্রজেক্ট প্রথম শুরু হয়েছিল মাত্র সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে। সেই প্রজেক্ট আজ ৩৫ হাজার কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে। এই প্রজেক্ট শেষ হতে হতে বাজেট ৫০ হাজার কোটি টাকা হলেও আমরা অবাক হব না।

তিনি বলেন, এতেই প্রমাণিত হয় যে বাজেটের কোয়ালিটি কী। বাজেট ফুলে ফেপে বড় হয়েছে। এটা বাজেটের জন্য গৌরবময় কোনো বিষয় নয়। সাইজ দিয়ে কোনো বাজেটের কোয়ালিটি নির্ধারিত হয় না। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এই বাজেট জনগণকে শোষণ করছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এই বাজেট একটি ভুয়া বাজেট। এই বাজেট দিয়ে কখনো বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ হবে না। আপনারা আমার সঙ্গে গ্রামে-গঞ্জে চলুন। প্রতিটি রাস্তা, হাট, বাজার, স্কুল, কলেজ তার অবস্থা আপনারা পর্যবেক্ষণ করুন। আপনারা (আওয়ামী লীগ) বলছেন আমাদের সময় বাজেটের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬০ হাজার কোটি টাকা। আজকে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। আমি প্রশ্ন করব- ৪ লক্ষ হাজার কোটি টাকা কার পকেটে যাচ্ছে?

তিনি বলেন, আজকে এই সরকারের কার্যক্রমের কারণে জনগণ প্রশ্ন করতে পারে না। ইনশাআল্লাহ, আগামীতে যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। তার মাধ্যমে যদি একটি জবাবদিহিমূলক সরকার আসে। সেই সময় একটি জবাবদিহিমূলক পার্লামেন্ট যদি আমরা সৃষ্টি করতে পারি সেখানে প্রশ্নগুলো তুলব। সরকারের প্রত্যেকটি কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা করতে হবে। জনগণের পকেট কেটে যে টাকা নেয়া হচ্ছে সেই টাকা কার পকেটে যাচ্ছে? এটা সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সম্প্রতি আপনারা লক্ষ করেছেন সরকার আমাদের ওপর কীভাবে নির্যাতন-নিপিড়ন শুরু করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দল পুনর্গঠন করা শুরু করেছি। ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৫টি থানার কমিটি নতুন করে গঠন করা হয়েছে। আমরা সেই থানাগুলোর নেতাকর্মীদের নিয়ে এসেছি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে।

এসময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু, সহ সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম সামছুল হকসহ বিভিন্ন থানার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জুন ০৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test