বাম ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের উদ্দেশ্যে চারটি বাম সংগঠন এক হয়ে ‘বাম ঐক্যফ্রন্ট’ নামে নতুন রাজনৈতিক জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তিন মাস পরপর প্রতি সংগঠন থেকে একজন জোটের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া দুইজন স্থায়ী সদস্য ও একজন বিকল্প সদস্যের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ গঠিত হবে।

দলগুলো হলো বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পার্টি ও কমিউনিস্ট ইউনিয়ন। চলতি জোটের সমম্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমরেড নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আয়োজকরা জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর বিপ্লবী তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে জোটের পক্ষ থেকে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ৯ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ এবং বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় শহরে কর্মীসভা, পথসভা ও জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দেশে বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরনের জন্য বাম ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা করণীয় আমরা তাই করবে।

দেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত মন্তব্য করে তারা বলেন, সরকার সভা, সমাবেশ ও মিছিল করার অধিকার এবং বাক-স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। কেড়ে নেয়া হয়েছে মানুষের নির্ভয়ে ভোট দেয়ার অধিকারটুকুও। দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। দেশবাসী এই গুমোট পরিবেশ থেকে মুক্তি চায়।

বাম নেতারা আরও বলেন, বিদ্যমান বুর্জোয়াঁ স্বৈরতন্ত্র উচ্ছেদে যে আন্দোলনের সংস্থা গড়ে উঠবে, সেই সংস্থার প্রতিনিধিদের দনিয়ে গঠিত হতে পারে বিপ্লবী তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই সরকার একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। যে নির্বাচন কমিশন শ্রমজীবী মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ সহজ করে দেবে। একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে দেশের অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দেবে। একই সঙ্গে, সারাবিশ্বের মেহনতি নর-নারী ও নিপীড়িত জাতিগুলোর লড়াইয়ের সঙ্গে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাম ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বাসদ নেতা কমরেড শওকত আহমেদ, গণমুক্তি ইউনিয়নের নেতা রাজা মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৯, ২০১৮)