E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২ নভেম্বর ঢাকায় জনসভা করতে চায় ঐক্যফ্রন্ট

২০১৮ অক্টোবর ২৯ ১৪:৪৪:২৫
২ নভেম্বর ঢাকায় জনসভা করতে চায় ঐক্যফ্রন্ট

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২ নভেম্বর ঢাকায় জনসভার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জনসভা করতে চায় তারা।

সোমবার নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, আগামী ২ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঢাকায় জনসভা করবে। এজন্য আমরা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভার করার কথা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

রিজভী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি আর ১১ দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, শুধু বিরোধী দলই নয়, সরকারবিরোধী সমালোচনায় দলনিরপেক্ষ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিপাকে ফেলার জন্য ওঁৎ পেতে থাকে আওয়ামী লীগ। দেশের জননন্দিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি। এখন চলছে প্রতিবাদী বিশিষ্টজনদের ওপর স্টিম রোলার।

ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে গ্রেফতারের পরও হয়রানি ও নির্যাতনের তীব্রতা হ্রাস পায়নি মন্তব্য করে রিজভী বলেন, 'এখন চলছে প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ওপর হানাদারি আক্রমণ। তার প্রতিষ্ঠানের লোকজনের জান-মালের উপর চলছে সরকারি ক্যাডারদের বেপরোয়া আগ্রাসন। তার গড়া প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গা-জমি দখল করতে দলীয় মাস্তানদের লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিমনের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী ক্যাডাররা। আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট, কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন, ছাত্রী হোস্টেল ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসে হামলা একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, এটি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদেই হয়েছে।

তিনি বলেন, সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে তড়িঘড়ি করে আরপিওতে ইভিএমের বিধান সংযোজনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং নানা শ্রেণি-পেশার সংগঠন ও মানুষের আপত্তি সত্বেও ইভিএম ব্যাবহারের সিদ্ধান্তে নিশ্চয়ই কোনো দুরভিসন্ধি আছে।

রিজভী দাবি করেন, শেখ হাসিনা কখনোই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে দেবেন না। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি ক্ষমতার মসনদ থেকে ছিটকে পড়বেন। ইভিএম জালিয়াতির নির্বাচনের প্রমাণিত যন্ত্র। সেজন্য এই যন্ত্রই শেখ হাসিনার একমাত্র ভরসা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, সহ- দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test