E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইভিএম ব্যবহারে জনগণের মাঝে দ্বিধা-সন্দেহ রয়েছে

২০১৮ নভেম্বর ০৭ ১৬:৩০:১১
ইভিএম ব্যবহারে জনগণের মাঝে দ্বিধা-সন্দেহ রয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনগণের মাঝে দ্বিধা-সন্দেহ রয়েছে বলে দাবি করেছে সম্মিলিত জাতীয় জোট। তাদের ভাষ্য- এটা আধুনিক ভোটের পদ্ধতি হলেও ইভিএম ব্যবহারে এখনও দেশের জনগণ অভ্যস্ত না। এটা ব্যবহারের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন হবে।

বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে জোটের নেতা হিসেবে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এসব কথা বলেন। এ সময় নির্বাচনকালে সেনাবাহনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা দাবি জানান তিনি।

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের তফসিলের তারিখ ৮ তারিখেই করা হোক। আমরা যতদূর জানি আজকের পর কোনো সংলাপ হবে না। সুতরাং সংলাপের অজুহাত দিয়ে কমিশনের কাছে তারিখ পেছানোর দাবির কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।

নির্বাচনের মনোনয়ন সহজ করার প্রস্তাব করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে কলো টাকার প্রভাবমুক্ত করতে হবে। নির্বাচনের সময় যাতে কোনোভাবেই অস্ত্রের ব্যবহার না হয় তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনী প্রচারকালে সংঘাত বা সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মোটরসাইকেল বা গাড়ি বহরের ব্যবহারে সীমিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। পোস্টার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একক পোস্টার দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।

সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে এবং নিশ্চয়তা দিতে হবে তারা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন নিশ্চিত করবেন। এবং সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করতে হবে।

রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, তারা (ইসি) অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা জোট নেতাদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনারা জানেন আমরা এর আগেও সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি, কাল (৮ নভেস্বর) তফসিল ঘোষণা হবে।

এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এখানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপস্থিত আছেন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে জন্য আশা করি, একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। এরপর সচিব সবাইকে তার পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখার অনুরোধ জানান।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাপার মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এমএ সাত্তার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মশিউর রহমান রাঙ্গা, মুজিবুর হক চুন্নু, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক ও বিএনএ চেয়ারম্যান সেকান্দার আলী মনি।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন সময়ের ক্ষণ-গণনা শুরু হয়েছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। এজন্য ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি জানিয়েছে ইসি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test