E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘হাঁসে ডিম পাড়ে গুইসাপ না না করে’

২০১৪ জুলাই ২৪ ১৬:১৬:৪৫
‘হাঁসে ডিম পাড়ে গুইসাপ না না করে’

শেরপুর প্রতিনিধি : কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যেখানে মানুষ খুন হয় সেখানে আমেরিকা থাকে। বাংলাদেশে যখন মানুষ খুন হইছে তখন আমেরিকা তাদের পক্ষে ছিল। এই একটা দেশ টাকার গরম দেখায়। ধরাকে সরা জ্ঞান করে। আর যতো রকম জঙ্গি, জঙ্গিদের পেছনে হলো এই আমেরিকা।

মুখে বলে আমরা জঙ্গি চাই না। আমরা জঙ্গিদের দমন করতে চাই। আর টাকা দেয় এই আমেরিকা। গাজায় নিহত মুসলমানদের উদ্দেশ্য করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ইহুদিদের আক্রমণে তারা হাজারে হাজারে মারা যাইতেছে। আর এই ইসরাইলের পিছনে আছে হলো আমেরিকা। যে আমেরিকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল। তিনি উপমা দিয়ে বলেন, ‘হাঁসে ডিম পাড়ে গুইসাপ না না করে, আসলে ডিম খাওয়ার ছলনা করে।’ এই হলো আমেরিকা, এই হলো এদের চরিত্র।

২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নালিতাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে প্রাঙ্গনে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দু:স্থদের মাঝে চালসহ বিভিন্ন ঈদ উপকরণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এরা সাদ্দাম হোসেনরে ফাঁসি দিয়েছে। এরা ইরাকরে ধ্বংস করছে। এরা সিরিয়ারে ধ্বংস করতাছে। এরা আজকে মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত দেশের পিছনে লাইগা তার তেল উঠায়া নিয়া নিজেরা আমানতে রাখছে। আর বাংলাদেশে যখনই শেখ হাসিনা এইগুলার বিরুদ্ধে রুইখা দাঁড়ায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। আমেরিকার রাষ্টপতি ওবামাকে ইঙ্গিত করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, মানবাধিকারের কথা বলেন আমেরিকান লোকেরা, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি। আজকে নিজামির জন্য আপনি পেরেশান হয়ে যান। আর প্যালেস্টাইনে যখন মানুষ মারা যায় তখন আর আপনার কিছু লাগে না। আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে, আপনারা খুনীদের পক্ষে, আপনারা গরীব মানুষের শান্তির বিপক্ষে-এই অভ্যাস ছাড়েন।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আর জাতিসংঘ, এরা গাইও (গাভী) না, বলদও না। যখন যুদ্ধ হচ্ছে তখন কিছু করে না। যখন অবস্থা প্রায় অন্যদিকে চলে যায়, তখন ওনারা নিরাপত্তা পরিষদে বসে। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ত্রিশ লক্ষ মইরা সাফ, দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত শেষ, তখন তারা নিরাপত্তা পরিষদে বসল তাও আমেরিকার পক্ষে। কাজেই আজকে জাতিসংঘরেও বলব, আপনারা জালিমের পক্ষে থাকবেন না, মজলুমের পক্ষে থাকবেন। মনে রাখবেন মজলুমের জোরেই ভোট বেশি, ওই জালিমেদের ভোট বেশি নয়। আমাদের চান্দায় আপনারা চলেন। কাজেই সাধারণ মানুষের পক্ষে আপনারা থাকবেন, শান্তির পক্ষে থাকবেন- এটাই আপনাদের কাছে আমাদের কামনা।

মহাজোট সরকারের আমলে কৃষকদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের কৃষিকার্ড দেওয়া হয়েছে। সেই কার্ড দিয়ে কৃষক দশ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারে। ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিতে পারে। এখন আর কৃষি ঋণের জন্য মহাজনের কাছে যাইতে হয় না। মহাজন শব্দটা আমরা বিদায় দিয়েছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাকীর হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) মেহেদুল করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মোখছেুর রহমান রিপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শারমিন আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী, আ’লীগ নেতা গোপাল চন্দ্র সরকার, রেজাউল করিমসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন, কৃষিমন্ত্রী নালিতাবাড়ী পৌরসভাসহ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ১ হাজার ৪০০ গরীব ও দু:স্থ মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বিতরন করেন। এছাড়া ৭৫০ জনকে শাড়ি, ৬০ জনকে থ্রি-পিচ, ২০০ জনকে শার্ট, ২০০ জনকে ট্রাউজার, ১৩৮ জনকে বয়স্ক ভাতা, ৬৩ জনকে বিধবা ভাতা, ১৫ জনকে প্রতিবন্ধি ভাতা ও প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের শাড়ি এবং খেজুর বিতরণ করেন।

(এইচবি/অ/জুলাই ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test