E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আমি অনুতপ্ত, ক্ষমাপ্রার্থী 

২০১৯ সেপ্টেম্বর ১৬ ১৫:১৫:১১
আমি অনুতপ্ত, ক্ষমাপ্রার্থী 

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের দায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া গোলাম রাব্বানী। সোমবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এই ক্ষমা চান তিনি।

ছাত্রলীগের পদ হারানোর পর এটি তার প্রথম স্ট্যাটাস। এই স্ট্যাটাসে প্রথমেই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চান। তিনি লিখেছেন, ‘মমতাময়ী নেত্রী, আপনার মনে কষ্ট দিয়েছি, আমি অনুতপ্ত, ক্ষমাপ্রার্থী।’

এরপর তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে লিখেন, ‘প্রিয় অগ্রজ ও অনুজ, আপনাদের প্রত্যাশা-প্রাপ্তির পুরো মেলবন্ধন ঘটাতে পারিনি বলে আপনাদের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী।’

তিনি ‘গর্হিত কোনো অপরাধ’ করেননি বলে দাবি করেছেন তার স্ট্যাটাসে। রাব্বানী লেখেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমিও ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। তবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে আবেগ-ভালোবাসার এই প্রাণের সংগঠনের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী ‘গর্হিত কোনো অপরাধ’ করিনি।’

তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘আনিত অভিযোগের কতটা ষড়যন্ত্রমূলক আর অতিরঞ্জিত, সময় ঠিক বলে দেবে।’

এরপর তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘প্রাণপ্রিয় আপা, আপনি আদর্শিক পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের সুযোগ্য তনায়া, ১৮ কোটি মানুষের আশার বাতিঘর। আপনার দিগন্ত বিস্তৃত স্নেহের আঁচল, এক কোণে যেন ঠাঁই পাই। আপনার ক্ষমা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাকিটা জীবন চলতে চাই।’

প্রসঙ্গত, চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে শোভন-রাব্বানীকে। সিনিয়র সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনের মধ্যে আনীত দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেও সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও জাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের মোবাইল কথোপকথন ফাঁস হয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংগঠনের ১ নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

রাব্বানীর ওই স্ট্যাটাসের নিচে কমেন্টে রুদ্র ইমরান নামে একজন লিখিছেন, ‘পদ বঞ্চিতদের কষ্টটা এখন বুঝতেছেন ভাই। প্রথম আন্দোলনটা তারাই করেছে। কিন্তু আপনি চাইলেই তাদের জন্য কিছু করতে পারতেন। সব কিছু মিলিয়ে শুভ কামনা রহিল।’

আজহার উদ্দীন শীমুল লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ মি. রাব্বানী। এবার ডাকসু থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে ইতিহাসের সাক্ষী হোন। নৈতিক স্খলনের অভিযোগ কিন্তু ভয়াবহ। ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর একজন কর্মী হিসেবে নিশ্চয় নৈতিক স্খলনের অভিযোগ মাথায় রেখে ডাকসুতে জিএস পদে আপনি থাকবেন না। আশা করি, বোধটা জাগবে। ভালো থাকুন। সৎ থাকুন। শুভেচ্ছা।

আসমাউল মুক্তাদির সিকদার লিখেছেন, ‘কথাটি কিন্তু সঠিক বলেছেন ভাইয়া..!!’। আশরাফুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, ‘আল্লাহ্ রহম করবেন, ইনশাল্লাহ্। মন থেকে দোয়া ভালোবাসা রইল।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test