E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সব ভিসির এক নীতি, তা হলো দুর্নীতি 

২০১৯ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৫:৫০:১৯
সব ভিসির এক নীতি, তা হলো দুর্নীতি 

স্টাফ রিপোর্টার : পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অস্থিরতার জন্য উপাচার্যদের দায়ী করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সব ভিসি এক বিচির। তাদের সবারই একটা নীতি আছে, সেটা হলো দুর্নীতি।’

তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় যা হচ্ছে তা যদি সংবাদপত্রে লেখা হতো তবে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যেত।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

চলমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সবার সহযোগিতা চেয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে গয়েশ্বর বলেন, ওবায়দুল কাদের এটাকে বলছেন, ‘ইমেজ রিকভারি’। তার মানে হলো পচন ধরেছে। ওবায়দুল কাদের চাইলে নিজেই নিজেদের সহায়তা করতে পারেন। আবার কেউ কেউ বলছেন গ্রেফতাররা বিএনপি করতো। যদি বিএনপি করে থাকতো সে সময় তো তাদের পকেটে ১০ টাকাও ছিল না। আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার পর হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এতদিন ঢাকার ঐতিহ্য ছিল মসজিদ, এখন হলো ক্যাসিনোর শহর ঢাকা।

একটা ক্যাসিনো তৈরি করতে ২-৪ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হয় এমনটি দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, এই পানের দোকান, একটা ঘরের মধ্যে এগুলো ক্যাসিনো না। এগুলো একধরনের ফটকাবাজি এবং টাকাগুলোকে এক জায়গায় নেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। যাদের ধরা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা বাহিনী হয়তো বিব্রতবোধ করছে অনেকের নাম চলে আসায়। আমি অনুরোধ করবো প্রত্যেকের নাম পত্রিকার পাতায় ছাপিয়ে জনসম্মুখে প্রকাশ করুন। জনগণ এগুলো জানতে পারলে আপনাদের পাশে থাকবে।

‘নেতিবাচক কথা বলবেন না , প্রশংসা করুন’ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা অবশ্যই প্রশংসা করব, যারা এই চলমান প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখবে তাদের। তবে তিনটি লোককে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে লাখখানেক লোককে যদি আড়াল করার চেষ্টা করা হয়, সেক্ষেত্রে আমরা অসহায়, সেখানে আমরা প্রশংসা করতে পারব না। কিন্তু তাদের আইনের আওতায় এনে, তাদের থেকে প্রাপ্ত অর্থ যদি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যায়, অবশ্যই ধন্যবাদ দেব। প্রশ্ন হলো- এটা কি সরকারের উদ্যোগ নাকি দেশপ্রেম থেকে দুঃসাহসিকভাবে উদ্যোগ। এই গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে যারা দুর্নীতির লাগাম ধরতে চায়, তাদের সাধুবাদ জানাই। তাদের সহযোগিতা করার সদিচ্ছা আমাদের আছে। কিন্তু সরকারের নাটকের অংশ হিসেবে যদি হয়, তাহলে আমরা কোনো সহযোগিতা করতে পারব না।

সরকার পদত্যাগ করেও সহযোগিতা করতে পারে এমন দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে খারাপ লোক আছে, কিন্তু ভালো লোকের তো অভাব নেই। তারা যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে জনগণকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট, সন্ত্রাস থেকে রক্ষা করতে পুলিশ বাহিনী একাই পারবে। যতগুলোই ক্যাসিনো থাকুক এটা কিন্তু জাতির কাছে একমাত্র সংক্রামক ব্যাধি নয়। সারাদেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আছে। সে কারণে সবচেয়ে ভালো সহযোগিতা হয় আপনারা যদি পদত্যাগ করেন।’

দলের আন্দোলন সফল করার জন্য নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, নেতাকর্মীরা জেলে গেলে অভিভাবক পাওয়া যায় না, আহত হলে নেতারা খোঁজ-খবর নেন না। জেলে গেলে, আহত হলে নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর নেন তাহলে আমাদের আন্দোলন সফল হবে।

নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দল নেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট, ওলামা দল নেতা নেসারুল্লাহ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test