E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আবরার স্মরণ সভায় ইরান-বাবলুর মধ্যে অশ্লীল বাক্যবিনিময়আবরার স্মরণ সভায় ইরান-বাবলুর মধ্যে অশ্লীল বাক্যবিনিময়

২০১৯ অক্টোবর ১৫ ১৯:১৬:৩২
আবরার স্মরণ সভায় ইরান-বাবলুর মধ্যে অশ্লীল বাক্যবিনিময়আবরার স্মরণ সভায় ইরান-বাবলুর মধ্যে অশ্লীল বাক্যবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের স্মরণ সভায় নেতাদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় নেতাদের বসার আসন যথাযথ বণ্টন হয়নি এবং অনুষ্ঠানে নেতাদের নাম ঘোষণার ক্ষেত্রে বৈষম্য হয়েছে মর্মে এই অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আবরার হত্যার প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোটের প্রতিবাদ সভা শেষে বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এবং যুব জাগপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবলুর মধ্যে অশ্লীল, অশ্রাব্য বাক্য বিনিময় হয়। এছাড়া ইরানের প্রতি তেড়ে যান বাবলু। এ সময় তাদের ধাক্কা খেয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এম রাকিব পড়ে যান। পরে রাকিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান উত্তেজিতদের সামলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইরান বলেন, ‘আমি তো বাবলুকে চিনিই না। সভায় বক্তাদের নামের তালিকায় তার নাম দ্বিতীয় পাতায় হওয়ায় বাবলু ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ করেছে। আমি তাকে কিছু বলিনি। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে ২০ দলের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে আলোচনা হবে।’

নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘ গত বৃহস্পতিবার জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজকে প্রেস ক্লাবে আবরার ফাহাদের স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এ সভার দায়িত্ব জামায়াতে ইসলামীকে দেয়া হয়। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে হল বুকিং করা হলে প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ হল ভাড়া না দিতে পারে এ কারণে লেবার পার্টির ইরান এই দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সভা পরিচালনা করেন। সেখানে ২০ দলের সিনিয়র নেতাদের যথাযথ আসন বিন্যাস হয়নি। সভা শেষে বিষয়টি নিয়ে আমি প্রতিবাদ করলে ইরান এর সদুত্তর না দিয়ে অশ্লীল, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন। পরে আমি ও আমার সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার ওপর চড়াও হই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাগপা সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ কয়েকজন পরিস্থিতি শান্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে জোটের বৈঠকে আলোচনা হবে।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে এম রাকিব বলেন, ‘আমার কাজ থাকায় আমি কোর্টে চলে এসেছি। শুনেছি আসন বণ্টন নিয়ে বাবলুর সঙ্গে ইরানের কথা কাটাকাটি হয়েছে।’

সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, একটা পরিবারের মধ্যে ভাইয়ে ভাইয়ে যেমন মান-অভিমান থাকে, বাবা-সন্তানে মান অভিমান হয়, তেমনি ২০ দলীয় জোটও একটা পরিবার। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মান অভিমান হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। মান অভিমান যেমন হয়েছে তেমন আমাদের মধ্যে আলিঙ্গনও হয়।

(ওএস/অ/অক্টোবর ১৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test