E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে ভয় সুরঞ্জিতের

২০১৪ আগস্ট ১১ ১৪:১২:১৩
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে ভয় সুরঞ্জিতের

স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু একাডেমী।

সুরঞ্জিত সেন বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আমার ভয় হয়। এটা খুব ভালো কাজ হলেও সংঘাতপূর্ণ রাজনীতিতে এটা (নীতিমালা) কতটুকু ফলপ্রসূ হবে সেটা নিয়ে আরও ভাবতে হবে। এটা নিয়ে দলমত নির্বিশেষ সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। সরকারকে বলবো লেখা হয়ে গেছে এটাই তো শেষকথা নয়, সংযোজন বিয়োজনের সুযোগ আছে। এজন্য সকলের সহযোগিতা দরকার। কমিশন হলে এটা অধিকতর গণতান্ত্রিক হবে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, মন্ত্রী হলে সংযমী হতে হবে। চট করে উত্তেজিত হলে চলবে না। আগের দিন গালমন্দ করে পরের দিন ক্ষমা চাইলে হবে না। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটাকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্র হয় না। এজন্য সকলকে গণমাধ্যমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ারও পরামর্শ দেন সুরঞ্জিত।

তিনি বলেন, উগ্র দায়িত্বহীন বক্তব্য ও কাজের কারণে একের পর এক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চোখের মণির মত রক্ষা করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা একদিনে হয় না। এটার জন্য যুগ যুগ লাগে।

বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, রাজনীতিতে সহনশীল, পরিশীলিত ও পরিমার্জিত আচরণ করতে হবে। আপনারা শান্তিপূর্ণ ও ন্যায্য আন্দোলন করেন। আপনাদের আন্দোলন দায়িত্বশীল ও গণতান্ত্রিক হলে আমরা সহনশীল হব। তবে আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত কিছু হলে সেটা সেটা আপনাদের ও তাদের ব্যাপার।

এ সময় নিজ দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, নিজের আন্দোলন নিয়ে গর্বিত হবেন। আর অন্য দলের আন্দোলন পদদলিত করবেন এটা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি নয়।

বামদলের আন্দোলনের নামে হঠকারিতার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আন্দোলন করা ভালো। কিন্তু হঠকারিতা রাজনীতিতে ভালো নয়। নারী শ্রমিকদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে, তাদের শুধু বেতনই নয় বোনাসও দিতে হবে। এর জন্য কে কী বিক্রি করবে সেটা দেখার বিষয় নয়।

তিনি বলেন, বিদ্রুপ বা আস্ফালন না করে এই আন্দোলন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। বিজিএমইএ ও সরকারের দায়িত্ব আছে। সে দায়িত্ব যথাসময়ে পালন করলে এ জাতীয় সমস্যা হবে না।

লঞ্চডুবির কোনো মামলার বিচার হয় নাই উল্লেখ করে সাবেক এই রেলমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত এ জাতীয় কোনো মামলার বিচার হয় নাই। এ নিয়ে ভাষণ বক্তৃতা হয়, পরে আর খবর থাকে না। ৮০ জনের লঞ্চে ২৫০-৩০০ জন চড়লে দুর্ঘটনা ঘটবে সেটা জানতে বিএ-এমএ পাশ করতে হয় না। কয়েকবার মন্ত্রীও হতে হয় না। এ বিষয়ে আরও সতর্ক, মনোযোগী ও সাবধানী হতে হবে।

তিনি বলেন, যতগুলো লঞ্চের ত্রুটি আছে, এগুলোর মালিক কোন দলের তা বিবেচনা না করে সেগুলো বাতিল করতে হবে। এগুলো(দুর্ঘটনা) হয় পক্ষপাতিত্বের কারণে। আদি যাতায়াত ব্যবস্থা নদীপথকে আধুনিক ও সময়োপযোগী করতে হবে। উদাসীন হলে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হবে না।

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের সমালোচনা করেন তিনি। সুরঞ্জিত বলেন, নিজ মন্ত্রণালয়ে মনোযোগ দিতে হবে। নিজেরটা বাদ দিয়ে পরেরটা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে চলবে না।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ১১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test