E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দলীয় জোট

২০১৪ আগস্ট ১৮ ১৬:২৫:২৬
শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দলীয় জোট

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার প্রতিবাদে ১৯ আগস্ট সমাবেশে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট। ঢাকা মহানগর পুলিশ সমাবেশের অনুমতি দিবে না বলে আশঙ্কা করছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। তার পরও তারা সর্বশক্তি দিয়ে সমাবেশ সফল করার জোড় চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল ১৯ আগস্ট রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে যাচ্ছে ২০ দলীয় জোট।

আর এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।

প্রতিবাদ সমাবেশকে ঘিরে জাতীয়তাবাদী দল সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি হিসেবে মহানগর বিএনপির প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড, প্রতিটি ইউনিট, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি। তাদের প্রত্যাশা যে কোনো মূল্যে প্রতিবাদ সমাবেশ সফল করা।

দলীয় সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার যদি আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দ্বারা জোটের প্রতিবাদ সমাবেশে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে তাহলে ঢাকায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

জানা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতির উপর নির্ভর করছে প্রতিবাদ সমাবেশের সমস্ত আয়োজন। পরিস্থিতি যদি জোটের অনুকূলে থাকে তাহলে ১৬ আগস্টের কালো পতাকা হাতে মৌন মিছিলকে ছাড়িয়ে জনসমাগম হবে ১৯ তারিখের প্রতিবাদ সমাবেশ।

ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটি হওয়ার পর এটিই হবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রথম সমাবেশ।

এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং সদস্য সচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল।

এদিকে, ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা কিভাবে সমাবেশকে সফল করে। তারা যদি প্রতিবাদ সমাবেশ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পূর্বের মহানগরের কমিটির মত এ কমিটিও সমালোচনার মুখে পড়বে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ের সূত্র জানায়, প্রতিবাদ সমাবেশে যদি জোটের প্রধান খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকেন তাহলে ১৯ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২০ দলীয় জোটের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে শেষবারের মতো সংলাপে বসার আহ্বান জানাবেন তিনি।

এতে যদি আওয়ামী লীগ কোনো প্রকার সাড়া না দেয় তাহলে ইস্যু ভিত্তিক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

সরকার পতনের আন্দোলন কোরবানি ঈদের পর চুড়ান্ত আন্দোলনে রুপ নিবে। আর সেই আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা থেকে বিদায় হতে বাধ্য করা হবে।

বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ জানান, আগামী কালের প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বিএনপি এবং তার নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। কেননা বিএনপি মনে করে এই সরকারের জনভিত্তি নেই।

প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ করার অনুমতি পাইনি। তবে আশা করি ক্ষমতাসীন সরকার যদি নিজেদের নূন্যতম গণতান্ত্রিক দল মনে করে তাহলে অনুমতি দিয়ে আমাদের সহায়তা করবে।

রিজভী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এখন জনবিছিন্ন দল। তারা জনগণকে ভয় পায়। আর তারা ভয় পায় বলেই বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকার রাজপথে নামতে দিতে চায় না।

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বিবৃতিতে বলেন, বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমনের জন্য ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির ঘাড়ে চেপে বসা আওয়ামী সরকার সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার হীন উদ্দেশ্যে সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

এ নীতিমালার প্রতিবাদে এবং বাতিলের দাবিতে দেশের সকল রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা আন্দোলন করছে। কিন্তু সরকার সে দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ করছেন না।

জামায়াতে ইসলামীর একটি সূত্র বলেন, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জামায়াত ইসলাম অতীতের চেয়ে যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত।

আরেকটি সূত্র জানায়, সরকার যদি ১৯ আগস্ট প্রতিবাদ সমাবেশ করতে না দেয় তাহলে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিতে পারে ২০ দলীয় জোট। যা ঢাকা মহানগরের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড এবং জেলা সদরে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া ব্যতীত প্রতিবাদ সমাবেশ করতে চাইলে ২০ দলীয় জোটকে অনুমতি দেয়া হতে পারে।

নগর বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যেনে সম্প্রচার নীতিমালার প্রতিবাদ সমাবেশকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে কি না জানতে চাইলে নগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিবউন নবী খান বলেন, নগর বিএনপি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাজপথে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না । আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামেও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নিবে।

>>সমাবেশ মঙ্গলবার, এখনো অনুমতি পায়নি ২০ দলীয় জোট

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ১৮, ২০১৪)

শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দলীয় জোট

২০১৪ আগস্ট ১৮ ১৬:০৫:০০
শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দলীয় জোট

জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার প্রতিবাদে ১৯ আগস্ট সমাবেশে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট। ঢাকা মহানগর পুলিশ সমাবেশের অনুমতি দিবে না বলে আশঙ্কা করছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। তার পরও তারা সর্বশক্তি দিয়ে সমাবেশ সফল করার জোড় চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল ১৯ আগস্ট রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে যাচ্ছে ২০ দলীয় জোট।

আর এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।

প্রতিবাদ সমাবেশকে ঘিরে জাতীয়তাবাদী দল সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি হিসেবে মহানগর বিএনপির প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড, প্রতিটি ইউনিট, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি। তাদের প্রত্যাশা যে কোনো মূল্যে প্রতিবাদ সমাবেশ সফল করা।

দলীয় সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার যদি আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দ্বারা জোটের প্রতিবাদ সমাবেশে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে তাহলে ঢাকায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

জানা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতির উপর নির্ভর করছে প্রতিবাদ সমাবেশের সমস্ত আয়োজন। পরিস্থিতি যদি জোটের অনুকূলে থাকে তাহলে ১৬ আগস্টের কালো পতাকা হাতে মৌন মিছিলকে ছাড়িয়ে জনসমাগম হবে ১৯ তারিখের প্রতিবাদ সমাবেশ।

ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটি হওয়ার পর এটিই হবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রথম সমাবেশ।

এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং সদস্য সচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল।

এদিকে, ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা কিভাবে সমাবেশকে সফল করে। তারা যদি প্রতিবাদ সমাবেশ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পূর্বের মহানগরের কমিটির মত এ কমিটিও সমালোচনার মুখে পড়বে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ের সূত্র জানায়, প্রতিবাদ সমাবেশে যদি জোটের প্রধান খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকেন তাহলে ১৯ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২০ দলীয় জোটের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে শেষবারের মতো সংলাপে বসার আহ্বান জানাবেন তিনি।

এতে যদি আওয়ামী লীগ কোনো প্রকার সাড়া না দেয় তাহলে ইস্যু ভিত্তিক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

সরকার পতনের আন্দোলন কোরবানি ঈদের পর চুড়ান্ত আন্দোলনে রুপ নিবে। আর সেই আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা থেকে বিদায় হতে বাধ্য করা হবে।

বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ জানান, আগামী কালের প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বিএনপি এবং তার নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। কেননা বিএনপি মনে করে এই সরকারের জনভিত্তি নেই।

প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ করার অনুমতি পাইনি। তবে আশা করি ক্ষমতাসীন সরকার যদি নিজেদের নূন্যতম গণতান্ত্রিক দল মনে করে তাহলে অনুমতি দিয়ে আমাদের সহায়তা করবে।

রিজভী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এখন জনবিছিন্ন দল। তারা জনগণকে ভয় পায়। আর তারা ভয় পায় বলেই বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকার রাজপথে নামতে দিতে চায় না।

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বিবৃতিতে বলেন, বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমনের জন্য ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির ঘাড়ে চেপে বসা আওয়ামী সরকার সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার হীন উদ্দেশ্যে সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

এ নীতিমালার প্রতিবাদে এবং বাতিলের দাবিতে দেশের সকল রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা আন্দোলন করছে। কিন্তু সরকার সে দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ করছেন না।

জামায়াতে ইসলামীর একটি সূত্র বলেন, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জামায়াত ইসলাম অতীতের চেয়ে যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত।

আরেকটি সূত্র জানায়, সরকার যদি ১৯ আগস্ট প্রতিবাদ সমাবেশ করতে না দেয় তাহলে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিতে পারে ২০ দলীয় জোট। যা ঢাকা মহানগরের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড এবং জেলা সদরে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া ব্যতীত প্রতিবাদ সমাবেশ করতে চাইলে ২০ দলীয় জোটকে অনুমতি দেয়া হতে পারে।

নগর বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যেনে সম্প্রচার নীতিমালার প্রতিবাদ সমাবেশকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে কি না জানতে চাইলে নগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিবউন নবী খান বলেন, নগর বিএনপি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাজপথে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না । আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামেও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নিবে।

- See more at: http://www.bdmail24.net/bn/article/11697/#sthash.tzgo0euu.dpuf

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test