E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গণমাধ্যম ও বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে সরকার

২০১৪ আগস্ট ২৩ ১৫:৪৫:১২
গণমাধ্যম ও বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে সরকার

খুলনা প্রতিনিধি : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম বলেছেন, অবৈধ সরকার জাতীয় গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করে গণমাধ্যমের সত্য প্রকাশের অধিকার এবং বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে নিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে।

সরকার গণতন্ত্র রক্ষায় ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালনকারী সকল প্রতিষ্ঠান একে একে ধ্বংস করতে চায়। তিনি সকল প্রকার বিভেদ, মান-অভিমান ভুলে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদেরকে দেশ, জাতি, গণতন্ত্র ও অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে কঠোর ঐক্য গড়ে তুলে গণঅভ্যূত্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহবান জানান।

চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করতে ২১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত গণসংযোগ কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে খুলনায় ২০ দলীয় জোটের মহানগর ও জেলা শাখার প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় খুলনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, মহানগর কমিটির সভাপতি ও খুলনা ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

প্রতিনিধি সভার শুরুতে স্বাগত বক্তৃতায় তরিকুল ইসলাম প্রতিনিধি সভা আয়োজনের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব বর্ণনা করে বলেন, সরকার গণতন্ত্রের পায়ে লেহার ডান্ডা-বেড়ি পরিয়ে তাকে সোনার খাচায় বন্দি করেছে। দেশ স্বাধীনের পর শেখ মুজিবের শসনামলে গণতন্ত্রকে হত্যা করে এক দলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। সকল সংবাদপত্র বিক্রি করে সরকার নিয়ন্ত্রিত মাত্র চারটি কাগজ রাখা হয়। বহু সাংবাদিক প্রেসক্লাবের সামনে ফলের দোকান দিয়েছিলেন। অনেকেই ওই সরকারি চার কাগজ হকারি করে বিক্রি করতেন। আর তার উত্তরসূরি সরকার চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি বন্ধ করেছে। আমার দেশ শুধু বন্ধই নয়, সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বছরের পর বছর বন্দি রয়েছেন। ইনকিলাব অফিসে অভিযান চালিয়ে বার্তা সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানবজমিনের সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছে। সাগর-রুনী হত্যার বিচার হয়নি। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এদের পছন্দ নয়।

তরিকুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান একদলীয় দু:শাসনের অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। আর বেগম খালেদা জিয়ার সময় আকাশকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল। বিবিসি, সিএনএন চালু করা হয়েছিল।

তরিকুল ইসলাম সংসদের সমালোচনা করে বলেন, যে সংসদের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, অধিকাংশ মন্ত্রী বিনা ভোটে নির্বাচিত তাদের মাধ্যমে এসব নীতিমালা ও আইন কানুন জারি হতে পাওে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অত্যাচার নির্যাতন করবে, অপরাধের সাথে জড়িত হবে। অথচ মিডিয়ায় তা প্রকাশ করা যাবে না। বেসিক ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ থেকে তাদের লোকেরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে দেউলিয়া বানিয়ে দেবে। অথচ সে সব কথা কাগজে লেখা যাবে না। সমস্ত দেশটাকে তারা প্রতিবন্দি বানিয়ে ছাড়বে।

প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই ও অধ্যাপক মাজিদুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোহাদ্দিস আব্দুল খালেক। বক্তব্য রাখেন কেসিসির মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম শফিকুল আলম মনা, সাহারুজ্জামান মোর্তজা, সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, জামায়াতের মহানগর আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বিজেপি সভাপতি লতিফুর রহমান লাবু, পিপলস লীগের সভাপতি ডা. সৈয়দ আফতাব হোসেন, লেবার পার্টির লোকমান হাকিম, মুসলীম লীগ সভাপতি অধ্যাপক রেজাউদ্দিন, জামায়াতের অধ্যাপক আব্দুল মতিন, মাস্টার শফিকুল আলম, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, বিজেপির সিরাজউদ্দিন সেন্টু, খেলাফত মজলিসের মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মুসলীম লীগের আক্তার জাহান রুকু, জাপা (জাফর) মোস্তফা কামাল, জামায়াতের শাহ আলম, একরাম হোসেন, খেলাফত মজলিসের হাফেজ আলী আহমেদ প্রমুখ।

প্রতিনিধি সভায় খুলনা মহানগর ও জেলা ২০ দলের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা ও কেন্দ্র এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সাড়ে তিন শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ২৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test