E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রহস্যজনক লিফলেট বিতরণ

‘বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে ক্ষমতাসীন সরকার’

২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৫:২৪:৪৩
‘বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে ক্ষমতাসীন সরকার’

নিউজ ডেস্ক : ঢাকা মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটি ঘোষণার পর চাঞ্চল্যকর ও রহস্যজনক একটি লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২০ দলীয় জোটের সমাবেশ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর আলাচনা সভায় লিফলেটটি বিতরণ করা হয়।

‘আসুন বিএনপিকে রক্ষা করি’ শিরোনামের লিফলেটটি বিতরণের সঙ্গে বিএনপি ও ছাত্রদলের কারো কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তবে ‘তৃণমূল বিএনপি নেতৃবৃন্দ’ এর ব্যানারে বিতরণ করা লিফলেটটি বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে দলটি।

বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করেন, সরকারের বিশেষ কোনো এজেন্ট বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে লিফলেটটি বিতরণ করছে।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ আছে লিফলেটটিতে। রয়েছে কমিটি গঠনের অনিয়মের অভিযোগ। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব পদ থেকে সোহেলের অপসারণ ও অভিযুক্ত নেতাদের প্রভাবমুক্ত হয়ে দলটির অঙ্গ সংগঠনগুলো পুনর্গঠন দাবি করা হয়েছে লিফলেটে।

এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ, পুলিশের সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, হাওয়া ভবনের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, মহিলা দলের সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু ও ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কে ২০ দলের মানববন্ধন শেষে নিজ কক্ষে অনানুষ্ঠানিকভাবে লিফলেটে অভিযুক্ত নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সয়ম উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুসহ আরও অনেকেই।

আলোচনায় এ্যানী বলেন, ‘সরকারের এজেন্টরাই এ লিফলেট বিতরণের সঙ্গে জড়িত।’

লিফলেট বিতরণকারীদের চিহ্নিত করতে বলা হলে ওই সময় উপস্থিত এক নেতা বলেন, এরা আমাদের দলেরই লোক। আমরা হাতেনাতে তাদের ধরেছি। তবে তাদের নাম এখানে বলা যাচ্ছে না।

এ সময় মির্জা ফখরুল ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘দলের মধ্যে থেকে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের এজেন্টদের দল থেকে খুঁজে বের করতে হবে।’

দলীয় সূত্রে জানা যায়, লিফলেট বিতরণের সময় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে দুইজনকে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়। তাদের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের এক কর্মী ধরা পরে।

লিফলেট বিতরণ সম্পর্কে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘সরকারের এজেন্টরা এটা করছে। আসলে এগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’

লিফলেট বিতরণে দলের লোক জড়িত থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এটা জানি না। তবে এমনটা হলে সরকারের এজেন্টরাই দলের লোকদের ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘দলের লোক জড়িত থাকায় আপাতত কেউ এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছে না। তবে বিষয়টি নিয়ে গোপনে আলোচনা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘লিফলেট বিতরণের কথা আমি শুনেছি। আসলে এ বিষয়টিকে আমরা পাত্তা দিচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘দলের নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা সরকারের এজেন্টদের ষড়যন্ত্র।’

বিএনপির লোক জড়িত থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এরা হয়তো তাদেরই (ক্ষমতাসীন) লোক।’

তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’

ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল বলেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এরা সরকারের এজেন্ট।’

ছাত্রদলের এক কর্মী লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরে পড়েছে এমনটা শোনা যাচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমরা কাছে এ ধরনের কোনো খবর আসেনি। যদি এমনটা হয় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ’র নিয়মিত পাঠকের জন্য লিফলেটটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
আসুন বিএনপিকে রক্ষা করি
হাবিব-উন-নবী সোহেল ১৯৮৬ সালে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার হয়। সে ছিল সশস্ত্র ক্যাডার, ছাত্রদলের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৩ জন নিহত হলে, সে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কৃত হয়। সে নিজেও গুরুতর আহত হয়। গুলির আঘাতের ক্ষত তার তলপেটে বর্তমানেও বিদ্যমান। পরবর্তীতে সে ফেনসিডিলে আসক্ত হয়ে পড়ে এবং তৎকালীন জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান চুন্নুর বৌ এর সাথে পরকিয়া প্রেমে মেতে উঠে এবং চুন্নুর নিকট হাতেনাতে ধরা পড়ায়, চুন্নু তখন থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এবং তার বাইপাস সার্জারি হয়।

চুন্নু ভাই মর্নিং ওয়াক করার সময় পরিকল্পিতভাবে সোহেল তার ক্যাডার বাহিনী এবং অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করে। চুন্নুভাই প্রাণের ভয়ে পালাতে গিয়ে, সংসদ ভবন এলাকায় মৃত্যুবরণ করে।

পরে সোহেল চুন্নু ভাইয়ের বৌকে বিবাহ করে। সোহেল ছাত্রদল থেকে দশ বৎসর বিচ্ছিন্ন থাকার পরও প্রতিপক্ষ গ্রুপকে কোণঠাসা করার জন্য আমান-রতন গং সোহেলকে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক করে এবং এ্যানীকে সভাপতি করে।
পরবর্তীতে সোহেলকে সভাপতি ও পিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে। সোহেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে, এ্যানী ও পিন্টু সব কাজ করত, সে শুধু সুন্দর সুন্দর বক্তব্য রাখত। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দুর্নীতিবাজ রফিকুল ইসলাম বকুল জনাব তারেক সাহেবের পিএস নিযুক্ত হন। তিনি (বকুল) জনাব তারেক সাহেব এর নাম ভাঙিয়ে পিএসসি, পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়ে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করেন। পরবর্তীতে তিনি ১/১১ এর সময় দেশ ছেড়ে পালান। জনাব তারেক সাহেব এই বিষয় গুলি পরবর্তীতে জানতে পেরে তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেন।

এখন আবার বকুল নানা ছল-চাতুরীর মাধ্যমে জনাব তারেক সাহেব এর ওপর ভর করছে এবং তারেক সাহেব কে বিভিন্নভাবে ভুল বুঝিয়ে বকুল সবার মতামতকে উপেক্ষা করে সোহেলকে বর্তমানে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব করে। যা ব্যাপকভাবে নেতাকর্মীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। উল্লেখ্য, ঢাকার কমিটিতে ঢাকার বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে কাউকে না রেখে রংপুর-এ জাতীয় নির্বাচনে যার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে ছিল, তাকে বকুল এর কথায় ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব করা হয়। সোহেল এর আপন ভাই বিপ্লব একজন কুখ্যাত অস্ত্র ব্যবসায়ী। সে ইতোপূর্বে বহুবার অস্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটেছে।

আমাদের তৃনমূল নেতৃবৃন্দের প্রশ্ন, তার (সোহেল) যদি আন্দোলন সংগ্রাম করার এতই যোগ্যতা থাকত তাহলে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ সময় সে রাজপথে নামল না কেন? বা তার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীরা কোথায় ছিল? সে ও তার দুর্নীতিবাজ বন্ধু বকুলের কথায় ও পরামর্শে সে দিন আজিজুল বারি হেলাল এর মতো অথর্ব নেতাকে জনাব তারেক সাহেব ছাত্রদলের সভাপতি বানিয়ে ছাত্রদলকে মূলত অগোচরে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন।

এই হেলাল ১/১১ এর সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ফোনও রিসিভ করেনি। ১/১১ এর কুশীলবদের সাথে আঁতাত করে তিনি তখন বাসায় বসে ছিলেন। এবারও সুযোগ সন্ধানী সোহেল ব্যর্থ হবেই বরং মহানগর কমিটিকে বকুলের স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে, ছাত্রদলের মতো মহানগর বিএনপি কে ব্যর্থ ও ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিযে যাবে। যারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ কর্মসূচি দিতে বুদ্ধী দিয়ে ছিল, তারা পরবর্তীতে রাজপথ থেকে উধাও হয়ে গিয়ে ছিল। আবার তাদেরই বুদ্ধীতে সোহেলকে ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।

বিগত ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগ নির্বাচন বয়কট করে হরতাল দিয়েছিল। তারা সারাদেশের নেতাকর্মীদের ঢাকায় এনে ঢাকার বাইরের এলাকাগুলোকে অরক্ষিত করেনি। ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের হরতাল/অবরোধ কর্মসূচি এত সফল হয়নি। বিএনপি হরতাল ও ভোট প্রতিরোধ ভোটকেন্দ্রে না যাওয়াতে আপামর জনগণ বরং বিএনপি কেই সমর্থন দিয়েছিল যা ১৫ই ফেব্রুয়ারির আওয়ামী লীগ এর কর্মসূচির থেকে অনেক ভাল হয়ে ছিল। সে সময় দেশনেত্রীকে ঘিরে থাকা বিএনপি’র মুখোশধারী সরকারি দালালদের কারণে আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকরা মূলত ব্যর্থ হয়েছিলাম।

তাই তৃণমূল নেতৃবৃন্দের আজ ঐক্যবদ্ধভাবে সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে, অনতিবিলম্বে এই দুর্নীতিবাজ কর্মচারি, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বকুলের বন্ধু ফেনসিডিলখোর ও পরকিয়া প্রেমে অভিযুক্ত এবং দলীয় সাংগঠনিক কাজে অদক্ষ সোহেলকে বাদ দিয়ে ঢাকার জনগণ ও নেতাকর্মীদের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাদের দিয়ে ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটি গঠন করা হোক। আর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বকুলকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করা হোক। এবং তার অবৈধভাবে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উপার্জিত টাকা ফিরিয়ে এনে তৃনমূল নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে ব্যয় করে আন্দোলনকে সফলভাবে পরিচালনা করা হোক।

বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত ও বর্তমান এই অবস্থার জন্যে, ক্ষমতা থাকাকালিন সময়ে জনাব তারেক সাহেব এর পিএস রফিকুল ইসলাম বকুল ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং হারিছ চৌধুরী গংদের হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রকার অপকর্মই দায়ী ছিলো। তারপরও এই বিতর্কিতরাই বর্তমানে বিএনপিকে এখনো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় অত্যন্ত দুঃখের সাথে অবলোকন করলাম যে, হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে লোপাট করা রফিকুল ইসলাম বকুল জনাব তারেক সাহেবের সাথে এবার পবিত্র ওমরা হজ পালনে সফরসঙ্গী হয়েছে।

ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, আবার নতুন করে একটি চক্র জেগে উঠার চেষ্টা করছে, বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, তারা হলো দুর্নীতিবাজ, অসৎ চরিত্রের অধিকারী সাবেক সচিব সাবিউদ্দিন আহমেদ ও মারুফ কামাল সোহেল, পুলিশের ব্যর্থ সাবেক আইজি আবদুল কাইয়ুম এবং ডিজিএফআই এর এজেন্ট শিমুল বিশ্বাস, তারা এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জিম্মি করে, অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার সরকারের স্বার্থ হাসিল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায়, যার ঢাকা শহরে কোন হোলডিং নাম্বার ই নাই সেই হাবিব উন নবী সোহেল কে ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব করেছে। তারা এখন আবার নতুন মিশন নিয়ে নেমেছে, যুবদলের নেতৃত্বে আনতে চাচ্ছে ১/১১ এর মূল রূপকার মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর ছত্রছায়ায় থাকা খায়রুল কবির খোকন ও সাইফুল আলম নিরবকে। কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানাতে চাচ্ছে এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সফিউল বারী বাবুকে সভাপতি ও ছাত্রদলের ব্যর্থ সভাপতি আবদুল কাদের ভুইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক বানাতে চাচ্ছে ও ছাত্রদলের নেতৃত্বে আকরামের মতো অথর্বকে সভাপতি বানাতে চাচ্ছে। এই সকল ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে কাজ করছেন যিনি বোরখা পরে হাইকোর্টে গিয়েছিলো ও আন্দোলন এর সময় আত্মগোপন করছিলেন বিএনপির ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ ও কলংকিত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মুখোশধারী সবচেয়ে বড় দালাল সাদেক হোসেন খোকা ও রিজভী আহমেদ ইতিমধ্যে তারা মহিলা দলকে তাদের অনুগত করছে এবং মহিলা দলে শিরিন সুলতানাকে সাধারণ সম্পাদক করেছে, যিনি সংগঠনের কাজ না করে, সর্বক্ষণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোথায় গেলে তার সাথে এবং তার হাত ধরে উঠা-নামানোর কাজ ধরে ব্যস্ত থাকে। তারা চাচ্ছে সকল অঙ্গসংগঠনে তাদের পছন্দমতো লোকজনদের নেতৃত্বে এনে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জনাব তারেক রহমানকে জিম্মি করে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করতে চাচ্ছে।

তাই আসুন,তৃনমূল নেতৃবৃন্দের দাবি অনুযায়ী, এদের অপকর্মকে প্রতিহত করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জনাব তারেক রহমান এর হাত কে শক্তিশালী করি এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপিকে রক্ষা করি।
প্রচারে :- তৃণমূল বিএনপি নেতৃবৃন্দ

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test