E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গ্রেপ্তারে ভয় পাই না: খালেদা জিয়া

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৮:২৬:৫০
গ্রেপ্তারে ভয় পাই না: খালেদা জিয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে কোনো সরকার নেই। অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে তারা লম্বা লম্বা কথা বলছে। প্রতিদিন ঘুম-খুন-রাহাজানি হচ্ছে। এটি এখন নিত্য দিনের ঘটনা।

তিনি বলেন, মামলা দিয়ে হাসিনা আমাকে ভয় দেখাতে চায়। কিন্তু হাসিনা আমি গ্রেপ্তারে ভয় পাই না।

মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আপনিতো বহু আগে বিক্রি হয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে আপনি এরশাদের অধীনে নির্বাচনে গিয়েছিলেন। টাকার বিনিময়ে আপনি নির্বাচনে গিয়েছেন। অথচ আপনি বলেছিলেন, যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান। অথচ আপনি নির্বাচনে গেলেন। আমরা নির্বাচনে যাইনি। নির্বাচনে গিয়ে আপনি জাতীয় বেঈমানের খেতাব পেলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি জোট কখনও ভেঙে যাবে না। যারা ইমানদার তারা কখনও বিএনপিকে ছেড়ে যাবে না। তিনি বলেন, মামলা দিয়ে হাসিনা আমাকে ভয় দেখাতে চায়। কিন্তু হাসিনা আমি ভয় পাই না।

তিনি বলেন, হাসিনা বহু অপরাধ করেছে। তার দলের লোকেরাও বহু অপরাধ করেছে। কিন্তু তাদের বিচার হয় না। উল্টো আমার দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। গুম খুন করা হচ্ছে। সবকিছুর বিচার হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

তিনি বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতায় বসে একের পর এক অবৈধ আইন করছে সরকার। জনগণের টাকা লুট করছে। এক দিন জনগণের কাঠগড়ায় জবাবদিহি করতে হবে তাদের।

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। বিদ্যুতের উৎপাদন নিয়ে জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। কুইক রেন্টালের নামে জনগণের টাকা লুট করছে সরকার। আওয়ামী লীগ দলটি হল- ‘যা পাই তাই খাই। হাঁটি হাঁটি খাই খাই’ মন্তব্য করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

সাত খুনের ঘটনায় আ.লীগ সভানেত্রী সব জানেন উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় কারা জড়িত। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সব জানেন। ওই ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র রয়েছে। র‌্যাবের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে খবর বেরিয়েছে। তিনি কীভাবে পদে থাকেন। তাকে ধরলেই সব বেরিয়ে যাবে, তাই তাকে ধরা হচ্ছে না।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দেখেছেন, এ সরকার কীভাবে র‌্যাবকে অন্যায় অত্যাচারের কাজে ব্যবহার করছে। আমরা র‌্যাব গঠন করেছিলাম সন্ত্রাস দমনের জন্য। সন্ত্রাস দমনও করেছিলাম। কিন্তু তাদের দিয়ে এ সরকার মানুষ ধরে নিয়ে হত্যা করছে। এখন পর্যন্ত আমার দলের ৩১০ জনকে হত্যা করেছে, ৩৬ জনকে গুম করেছে।

সরকার নিজেরাই সংবিধান লঙ্ঘন করছে বলে খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ সরকার। সরকার নিজেরাই সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছে। যার জন্য আজ দেশের এ দুরবস্থা। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি। প্রতিদিন খুন গুম রাহাজানি হচ্ছে।

তিনি জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, আপনারা ভোট দিয়েছিলেন কি দেননি?’ জনগণ এ সময় ‘না’, ‘না’ বলে জবাব দেন। খালেদা জিয়া বলেন, তাহলে কী করে এই অনির্বাচিত সরকার সংসদে বসে থাকে। তারা কীভাবে লম্বা লম্বা কথা বলে আর আইন পাস করে।

খুন, গুম, দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর মামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং বিচারকদের অভিশংসনে ক্ষমতা বাতিলসহ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর আগে, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৩৩ মিনিটে খালেদা জিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে পৌঁছান।

>>অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন খালেদা জিয়া


(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ২৩, ২১০৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test