E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সক্রিয় হচ্ছেন সৈয়দ আশরাফ

২০১৪ অক্টোবর ১৭ ১৪:৫২:০৭
সক্রিয় হচ্ছেন সৈয়দ আশরাফ

স্টাফ রিপোর্টার : সক্রিয় হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। দল ও সরকারে উভয় জায়গায়ই তিনি সরব হচ্ছেন।

সূত্র জানায়, সেপ্টেম্বরে লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর থেকেই তিনি দল ও সরকারের কাজে সংশ্লিষ্টতা বাড়িয়েছেন। সপ্তাহে অন্তত চারদিন মন্ত্রণালয়ে অফিস করছেন, দলেও সময় দিচ্ছেন চাহিদা মতো। আজ তিনি জেলা সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন।

দলে সময় না দেয়া এবং মন্ত্রণালয়ে অফিস না করা নিয়ে সৈয়দ আশরাফের বিরুদ্ধে দল ও দলের বাইরে প্রচুর সমালোচনা রয়েছে। মেধাবী এ রাজনীতিবিদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে গণমাধ্যমেও প্রচুর লেখালেখি হয়।

তবে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে ফেরার পর থেকেই মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত যাওয়া শুরু করেন। দলের যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে পুনঃপুন বৈঠক করে জেলা সম্মেলন শেষ করার তাগাদা দেন। এমনকি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়েও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে কয়েকটি জেলার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন।

সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী তাণ্ডব নিয়ে দলের তৈরি রক্তাক্ত বাংলাদেশ শিরোনামে সিডিটিও উন্মোচন করেন আশরাফ। এছাড়া দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও উপস্থিত থাকছেন নিয়মিতই।

চলতি মাসের দুই তারিখে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে শুরু করে তার প্রায় সব কর্মসূচিতেই উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। তিন অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে অন্তত তিন দিন তিনি দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য গণভবনে যান।

সর্বশেষ ১২ অক্টোবর দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের প্রস্তাবও তুলে ধরেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

এদিকে দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগহীনতা এমনকি শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ফোন না ধরার অভিযোগও কাটিয়ে উঠছেন তিনি। প্রয়োজনে দলের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বা ফোন করলে আর কাউকে ব্যর্থ মনোরথ নিয়ে ফিরতে হচ্ছে না বলেই আওয়ামী লীগ সূত্রগুলোর দাবি।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেন, দলের প্রয়োজনীয় অনেক কাজও তদারকি করছেন সৈয়দ আশরাফ। জেলা সম্মেলন, ঢাকা মহানগরের কমিটি গঠন, বিভিন্ন অফিস-আদালতে চিঠি প্রেরণসহ অনেক কাজ তার তত্ত্বাবধানেই হচ্ছে। আরেক নেতা বলেন, আগে তার কাছে দলের প্রয়োজনে কোনো চিঠি বা কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিতে হলেও কয়েকদিন সময় লেগে যেত কিন্তু এখন যেদিনের কাজ সেদিনেই সম্পন্ন করে দিচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক।

যার সর্বশেষ উদাহরণ ১৪ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীকে যে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে তা ১৩ তারিখ রাতেই স্বাক্ষর করেন আশরাফ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, দলের কাজ পরিচালিত হয় সাধারণ সম্পাদককে ঘিরে। আর সাধারণ সম্পাদক সক্রিয় থাকলে নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত থাকে। আশরাফের সক্রিয়তা বাড়ানোকে দলের জন্য ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test