সরকার সংলাপের জন্য মরিয়া হবেন : শাহ মোয়াজ্জেম

স্টাফ রিপোর্টার : আন্দোলনের চাপে পড়ে সরকার সংলাপে বসার জন্য বিএনপিকে ডাকবে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক উপ প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার সংলাপ ও আলোচনার কথা বলার দরকার নাই। আমাদের আন্দোলন করতে হবে, সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে সংলাপে বসার জন্য বাধ্য করতে হবে। এক সময় সরকারই সংলাপে বসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত লগি-বৈঠার তাণ্ডব: আওয়ামী বর্বরতা-দেশপ্রেমিকদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিচার কেনো করা হচ্ছে না, আমি তা জানতে চাই। দেশটা সঠিকভাবে চলছে না এবং আইন না মানার রাজত্মে পরিণত হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, আমাকে মরতে হবে, জানি, আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু একটা জবাব থেকে নিস্তার পাবো যে, আমি আমার বিবেককে বন্ধক দেই নাই। দেশ ও জনগণের জন্য সব সময় কাজ করেছি। সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশের বিচার বিভাগ, প্রশাসন স্বাধীন, কোনো দলীয়করণ নাই। কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কি নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছিলো? প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি সংবিধানের নিয়ম রক্ষার জন্য ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করেছেন। কিন্তু এখনো কি এ নিয়ম রক্ষা শেষ হয়নি? যদি না হয়, তবে আমরা বিশ দলীয় জোট গণতন্ত্র রক্ষার জন্য রাজপথে নেমে আসবো।

দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র, রাজনীতি আজ পায়ের তলে পৃষ্ঠ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক বলেন, খালি হাতে কোনো দিনও আন্দোলন বাস্তবায়ন হয় না। ক্ষমতাসীনরা যদি লগি-বৈঠা হাতে নিতে পারে, সেক্ষেত্রে আমাদের হাতে কি নেওয়া উচিত? এটা চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব হামিদুল্লাহ আল মেহেদী, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ২৭, ২০১৪)