E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয় দুর্ভিক্ষ চলমান’

২০২৪ এপ্রিল ০২ ১৩:৪৩:৩০
‘দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয় দুর্ভিক্ষ চলমান’

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয় দুর্ভিক্ষ বিরাজমান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নয়াপল্টনে জিয়া প্রজন্ম দলের উদ্যোগে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশ নাকি কানাডা ইউরোপের মতো উন্নত হয়েছে, একমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু আমরা গণমাধ্যমে কি দেখি মা তার সন্তানকে বিক্রি করতে হাটে নিয়ে গেছেন। চারদিকে ভিক্ষার আওয়াজ, ভাত চাওয়ার আওয়াজ, চাল চাওয়ার আওয়াজ শোনা যায়। রাস্তায় এতো ভিক্ষুক আমরা কখনও দেখিনি। চারদিকে শুধু আমরা আহাজারি আর কান্না দেখতে পাই। আজকে যদি কেউ লঙ্গরখানা খুলে তাহলে সেখানে দেখা যাবে গরীব মানুষ হুমরি খেয়ে পড়ছে। শ্রমজীবী মানুষের মাসিক আয় কত যে ৮০ টাকা আলু কিনবে, লেবুর হালি কিনবে ১২০ টাকায়?

রিজভী বলেন, ৭২ থেকে ৭৫ যেভাবে বাংলাদেশেকে ভিক্ষকের দেশে পরিণত করা হয়েছিল শেখ হাসিনা দেশকে সে অবস্থায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষের অবস্থা ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন আজকে দেশে ভয়াবহ ডলার সংকট চলছে। রিজার্ভ ফুরিয়ে আসছে। তিন মাস আমদানি করার রিজার্ভও ব্যাংকে নেই। তারা ১৯ বিলিয়ন ডলারের কথা বললেও ব্যাংকে রিজার্ভ আছে তার চেয়ে অনেক কম। বর্তমানে পোশাক রফতানি ৩০ভাগ কমে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পোশাক কারখানা থাকবে না, সব বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষ বেকার হয়ে রিকশা চালানোরর অবস্থাও থাকবে না। শেখ হাসিনা দেমকে সে অবস্থায় নিয়ে গেছেন।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, অত্যন্ত সুক্ষভাবে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় মূলবোদের উপর আক্রমণ করছে সরকার। তারা সবকিছুর অনুমতি দিলেও ইফতারের অনুমতি দেয় না। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইফতারেও বাধা দওেয়া হচ্ছে। আর এটা করেছে তাদের প্রভুদের খুশি করতে। টার্গেট করে করে এদেশের সংস্কৃতি ও ধমীয় মুল্যবোধে আঘাত করছে সরকার।

রিজভী আরও বলেন, সারা দুনিয়া শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। সেটা ২০১৪ হোক, ২০১৮ হোক বা ২০২৪ সালে নির্বাচন। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী দেশ যারা নিজেকে গনতান্ত্রিক দেশ বলে দাবি করে তারা একটি দলের হয়ে সারা বিশ্বে উকালতি করছে, অবৈধ নির্বাচনকে জায়েজ করতে চেষ্টা করছে। তারা বাংলাদেশের জনগণকে সম্মান করে না, বাংলাদেমের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। তারা শুধু চায় বাংলাদেশে একটি দল আজীন ক্ষমতায় থাকুক আর তাদের তাবেদারি করুক। সেজন্যই জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, তাদের পণ্য বর্জন করছে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা ফিরোজ আলম, ছাত্রদল নেতা ডাঃ মুশফিক, আশরাফুল আসাদ-সহ নেতৃবৃন্দ।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test