E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত : ২০ দলীয় জোট

২০১৫ জানুয়ারি ১৭ ১৫:৫৬:১২
বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত : ২০ দলীয় জোট

স্টাফ রপেোর্টার : বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

শনিবার দুপুরে বিএনপির দফতরের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ২০ দলীয় জোট এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

বিবৃতিতে বিজিবির মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের বক্তব্যকে এখতিয়ারবহির্ভূত দাবি করে রিজভী আহমেদ এর তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার মানুষের অধিকারগুলো সঙ্কুচিত করেছে। গণতন্ত্রে যে বিরোধী দলের বিশেষ একটি জায়গা আছে, সেটিকে তারা কখনই বিশ্বাস করেনি। গণতন্ত্রে স্বীকৃত বিরোধী দলের সকল কর্মকাণ্ডকে বানচাল করতে তারা দমননীতি অবলম্বন করেছে।

তাদের দমননীতি অমানবিক, মধ্যযুগীয় এবং নাজি ফ্যাসিস্টদের সমতুল্য। শুধুমাত্র কথা বলা, সভা, সমাবেশের অধিকারগুলোই তারা হরণ করেনি বরং নাজিদের কায়দায় বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে অবরুদ্ধ, কারারুদ্ধ, মিথ্যা মামলাতেই জড়ানো হয়নি, অনেককে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।

২০ দলীয় জোটের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়- সমাজের নানা স্তরের মানুষসহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, গুপ্তহত্যা ও ক্রসফায়ারের নির্মম শিকার হতে হয়েছে। ফলে এই পৈশাচিক দুঃশাসনকে মোকাবেলা করার জন্য ২০ দলীয় জোট গঠন হওয়ার পর থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে মানুষের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

জোটের অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করে ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর আওয়ামী মহাজোট সরকার অবৈধ একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করে আরও বেশী নির্দয় ও নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

২০ দলীয় জোটের নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ১৪ দিন ধরে নিজ কার্যালয়ের ভেতর অবরুদ্ধ রেখে কার্যালয়ের চারদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ইট, বালু, কাঠের ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড করে রাখা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ জোটের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রাখা, হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের, প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা, এজেন্টদের দিয়ে যানবাহনে আগুন লাগিয়ে পরিকল্পিত নাশকতা করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানো, প্রকাশ্যে বুকে গুলি করার নির্দেশ ইত্যাদি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি এখন এ দেশে বিরাজমান বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যৌথবাহিনীর পাশাপাশি এখন নাকি সেনাবাহিনীও নামবে।

বিবৃতিতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী এবং সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের কাছে একটি প্রশ্ন রেখে বলা হয়, তারা কী ৫ শতাংশ ভোটের অবৈধ সরকারের নির্দেশ শুনবে নাকি ৯৫ শতাংশ মানুষের পক্ষে থাকবে? এ দেশে অত্যাচারীরা কোনোদিনই টিকতে পারেনি।

বিবৃতিতে সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ করে আরও বলা হয়, তারা যেন ক্ষমতাসীন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের প্রতিশোধ-বাসনার যন্ত্রে পরিণত না হন। কারণ এ দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠী তাদের বেতন নিশ্চিত করে।

বিবৃতিতে অবিলম্বে ২০ দলীয় জোটের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ২০ দলীয় জোটের সকল আটক নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে এই মুহূর্তে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করে সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিও জানানো হয়।

বিবৃতিতে চলমান আন্দোলনে এ পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর গুলিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
(এএসবি/এসসি/জানুয়ারি,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test