E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

‘হাতি উন্নয়নের প্রতীক’

২০১৫ এপ্রিল ১১ ১২:৪৮:৫৩
‘হাতি উন্নয়নের প্রতীক’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হাতি নেতৃত্ব ও উন্নয়নের প্রতীক আর কমলালেবু টক। তাই চট্টগ্রামের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে আজ ম নাছিরের বিকল্প নেই।

শনিবার সকাল ১১টায় নগরীর লালখান বাজার এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের প্রথম ধাপে আ জ ম নাছির প্রতীক বরাদ্দে বিজয় লাভ করে হাতি প্রতীক পেয়েছেন। আর মনজুর সাহেব পরাজিত হয়ে টক কমলালেবু পেয়েছেন। কমলালেবু পাওয়ার ক্ষেত্রে যৌক্তিকতা আছে। কারণ গত পাঁচ বছর তিনি চট্টগ্রামকে টকে পরিণত করেছেন। নগরীর কোন ওয়ার্ডে কাজ করেননি। চট্টগ্রামকে নোংরা নগরীতে পরিণত করেছেন। রাস্তায় হাঁটতে হলে নাকে রুমাল দিতে হয়। আর আ জ ম নাছির নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম মেগাসিটি হবে।

মনজুর আলমকে পেট্রোল বোমার অর্থদাতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন করতে না পারলেও মনজুর সাহেব সন্ত্রাসীদের উন্নয়ন করেছেন। টাকা দিয়ে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তাই বোমাবাজদের ভোট দিলে চট্টগ্রাম জঙ্গী নগরীতে পরিণত হবে। জনগণ শান্তিতে থাকতে পারবে না। তাই হাতি মার্কায় ভোট দিয়ে নাছিরকে বিজয়ী করার বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি’র প্রার্থী বারবার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন শুধু মনজুর সাহেবকে সতর্ক করেছেন। শুক্রবার মনজুর আলমের মোটরসাইকেল ও ট্রাক শোভযাত্রায় সাবেক তিনমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তাদেরকে কেন নোটিশ দেওয়া হয়নি? সকল দলের নেতাকর্মীদের প্রচারণায় সমান সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এ কেন্দ্রীয় নেতা।

মনজুর আলম ব্যর্থ মেয়র উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, জলাবদ্ধতাকে মনজুর সাহেব জটিল সমস্যায় পরিণত করেছেন। সামান্য বৃষ্টি হলে নগরী গলা পানিতে ডুবে যায়। যা গত কয়েকদিন আগে নগরবাসী দেখেছেন। চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে বিএনপির মেয়রের কোন পরিকল্পনা ছিল না। শুধু মেয়রের চেয়ার বসে সন্ত্রাসী লালন পালন করেছেন। তাই মানুষ আর ব্যর্থ মেয়র মনজুর আলমকে ভোট দিবে না।

গণসংযোগকালে বক্তব্য রাখেন চাকসুর সাবেক জিএস আজিম উদ্দিন, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আলম শাহীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম, চাকসুর সাবেক সদস্য মমিনুল হক জীবন, সাহাব উদ্দিন আরিফ, ইফতেখার হোসেন বাবু, যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম, নগর ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আরশেদুল আলম বাচ্চু, দিপেশ কান্তি দত্ত, মাহবুবুর রহমান, মো. হাশেম, জসীম উদ্দিন, ইমরুল করিম রাশেদ।

(ওএস/পিবি/এপ্রিল ১১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test