E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পৌরসভা নির্বাচন : ‘বছর ধইরা মাঠ ঠিক করছি, এখন সরতাম কিতার লাগি’

২০১৫ ডিসেম্বর ১৫ ১৬:১২:২২
পৌরসভা নির্বাচন : ‘বছর ধইরা মাঠ ঠিক করছি, এখন সরতাম কিতার লাগি’

সিলেট প্রতিনিধি : পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের সতর্ক করা হয়। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সাময়িক বহিষ্কারাদেশসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি।

তবে দলের এ ধরনের সাংগঠনিক পদক্ষেপে কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়া নেই সিলেটের গোলাপগঞ্জের বিদ্রোহী প্রার্থীদের। তাদের কারও অবস্থান, আগে থেকেই প্রচারণায় আছেন বলে সরবেন না। কারও অবস্থান, নেমেই যখন পড়েছেন, তাই এখন আর মাঠ ছাড়ার প্রশ্ন নয়।

গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র পদে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের জাকারিয়া আহমদ পাপলু (বর্তমান মেয়র) নৌকা প্রতীক নিয়ে, বিএনপির গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীন ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির (জাপা) মো. সুহেদ আহমদ লাঙল ও খেলাফত মজলিসের আমিনুল ইসলাম দেওয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে। আর ‘বিদ্রোহ’ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সিরাজুল জব্বার চৌধুরী মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে, একই দলের আমিনুল ইসলাম রাবেল জগ প্রতীক নিয়ে এবং আমিনুর রহমান লিপন নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে।

মঙ্গলবার সকালে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা ভবনের সামনে সিএনজি স্টেশনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আলাপ হয় শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল হকের সঙ্গে। দলের বিদ্রোহ নিয়ে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘ইবার আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী। ই (এই) সুযোগ নিবো বিএনপির প্রার্থীয়ে।’

দল হারবে বলে এ নিয়ে সমর্থকরা এমন চিন্তা করছেন, তাহলে প্রার্থীরা সরছেন না কেন- এমন প্রশ্নে আবদুল হক বলেন, ‘ভুটের আগেও প্রচারণায় প্রায় এক কোটি টেকার মতো খরচ করিলাইছইন, এখন কিলান (কেন) বইবা (সরে দাঁড়াবে)? জয় হোক, পরাজয় হোক, ভুট খেলাইবা (করবে)।’

তার সঙ্গে থাকা গোলাপগঞ্জ মিনিবাস শ্রমিক সমিতির নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সবেউ (সবাই) নিজরে যোগ্য মনে কররা (করছেন), এর লাগি কেউ ভুট থাকি হরছইন না (সরছেন না)।

এ বিষয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত আমিনুল ইসলাম রাবেলের সঙ্গে আলাপ করলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, নেত্রীয়ে নির্দেশ দিছিলেন, তৃণমূল থাকি প্রার্থীর নাম দেওয়ার লাগি, তৃণমূলে আমার নাম দিছিল। কিন্তু পাপলুয়ে (দল মনোনীত প্রার্থী) টেকা খাওয়াইয়া প্রার্থিতা লই আইছন। নৌকা প্রতীক লইয়া পাস করা তো দূরের কথা, তাইন (তিনি) পাঁচ নম্বর অইবা। তার লগে জেলা উপজেলা-জেলা-তৃণমূল আওয়ামী লীগের কেউ নাই।’

প্রার্থীদের মধ্যে নিজেকে সবচেয়ে যোগ্য দাবি করে, ‘গত ভুটেও আমি খাড়া হইছিলাম, তিন নম্বর আইছিলাম। ইবার আশা করি নির্বাচিত অইমু। কারণ, নৌকার সিদ্ধান্ত অইছে একমাস আগে, আমি এক বছর আগে থাকি মাঠও আছি।’

অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তাইন (তিনি) পয়লা (প্রথমে) মনোনয়ন চাইছন না, পরে খাড়াইছন।’

এ বিষয়ে আলাপ করতে বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ও জাকারিয়া আহমেদ পাপলুর মোবাইলে বারবার কল দিলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

(ওএস/এইচআর/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test