E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘এ গর্হিত কাজ আমি কেন করবো’

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ০৬ ১৬:৫৮:১৪
‘এ গর্হিত কাজ আমি কেন করবো’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির সঙ্গে নিজের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই উল্লেখ করে আওয়ামী দলীয় সাংসদ এম এ লতিফ বলেছেন, এ গর্হিত কাজ আমি কেন করবো? এর সঙ্গে জড়িতদের আমি খুঁজে বের করবোই। নিজের ওপর ওঠা বিভ্রান্তি কাটাতে ও কালিমা থেকে মুক্ত হতে এটাই আমার দায়িত্ব।

গত ৩০ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সফর করেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে এম এ লতিফের শরীরের অংশের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডল স্থাপন করা বেশ কিছু পোস্টার নগরীতে টানানো হয়। এ ঘটনার পর পুনরায় আলোচনায় আসেন আওয়ামী দলীয় এ সাংসদ।

অবশেষে ঘটনার বেশ কিছুদিন পর এসে এম এ লতিফ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বক্তব্য জানালেন।

শনিবার দুপুর দেড়টায় নবনির্মিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এম এ লতিফ বলেন, সংসদ অধিবেশন থাকায় আমাকে সেখানে যোগ দিতে হয়েছিল। তাই দেরিতে এসে আমি আপনাদের মুখোমুখি হলাম।

৩ ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম এরকম ছবি ফেসবুকে দেখেছেন উল্লেখ করে এম এ লতিফ বলেন, ‘আমি আমার ছেলের সহযোগিতায় ফেসবুকে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডলের সঙ্গে আমার শরীরের অংশ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এটা দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছি। এ গর্হিত কাজ আমি কেন করবো? আমি যেখানে নিজের ছবিটাকে বিভিন্ন শ্লোক দিয়ে প্রচার করতে পারতাম।’

‘আমার শরীরকে বঙ্গবন্ধুর মাথার সঙ্গে জুড়ে আমি কোথায় কি বেনিফিট পাবো? এ প্রশ্নটি আপনাদের কাছে রইলো। কারণ আমি নিজের ফটো দিয়ে তো আমার শ্লোকগুলো ব্যবহার করতে পারি।’ বলেন এম এ লতিফ।

তবে বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডলের সঙ্গে নিজের শরীরের অংশ জুড়ে দেওয়ার বিষয়ে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই দাবি করলেও ওসব বিতর্কিত ফেস্টুনে ব্যবহৃত শ্লোকগুলো নিজের রচিত বলে জানান এ সাংসদ।

গত সাত বছর ধরে একটি মহল তার পেছনে লেগে আছে উল্লেখ করে এম এ লতিফ বলেন, একবার না আমার ওপর বারবার করে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। আমাকে ঘায়েল করার জন্য তারা আর কোনো সুযোগ পায়নি। তাই তারা আমার পেছনে লেগেছে।

তবে ওই মহল সর্ম্পকে সুষ্পষ্ট করে কিছু বলেননি এম এ লতিফ। তিনি বলেন, তারা জনগণের সঙ্গে ভালো কাজ করে নেত্রীর কাছাকাছি যেতে না পেরে উল্টো আমকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে নেত্রীর কাছ থেকে সরাতে চাচ্ছে।

কেন ওই মহলটি আপনার পেছনে লেগে আছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি বন্দর সচল রাখতে চাই। বন্দরের উন্নয়ন চাই। সে কারণে তারা আমার পেছনে লেগে আছে।

চেম্বারের শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ফেস্টুন তৈরির বিষয়টিও আপনার জানার বাইরে থাকার কথা নয়- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এম এ লতিফ বলেন, আমার নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে বিভিন্ন শ্লোক তৈরি করে তা প্রচার করতে পোস্টার তৈরি করি। কিন্তু এখন যদি কেউ আমার শ্লোকগুলো কপি করে বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডলের সঙ্গে আমার শরীর জুড়িয়ে দিয়ে প্রচার করে তাহলে তো আমার কিছু করার থাকে না।

তিনি বলেন, সারাদেশে আমার পোস্টার ছিল, পুরো ঢাকা শহরে পোস্টার ছিল। নিজেকে প্রচার করতে চাইলে সেসব পোস্টারে আমি নিজের ছবি ব্যবহার করতে পারতাম। কই আমি তো বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কারও ছবি ব্যবহার করিনি।

ইতিমধ্যেই বিষয়টি তিনি আওয়ামী লীগের উপরের মহলে অবহিত করেছেন উল্লেখ করে বলেন, সংগঠনের উপরের মহলে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলেছে যে মানুষটা কখনও পোস্টার-ব্যানারে নিজের ছবি ব্যবহার করে না, সেই মানুষটি এটি করতে পারে না।

বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে এম এ লতিফ বলেন, এ বিভ্রান্তি কাটানোর জন্য আমাকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে খুঁজে বের করতে হবে। কে এটি করেছে তাকে ধরিয়ে দিতে হবে, তাকে বের করতেই হবে। এটিই আমার মূল কথা। কারণ এটি আমাকে আহত করেছে। আমার আওয়ামী পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষকে আহত করেছে।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test