E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিএনপির গঠনতন্ত্রে সংশোধন আসছে

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৫:২৫:০২
বিএনপির গঠনতন্ত্রে সংশোধন আসছে

স্টাফ রিপোর্টার :আগামী মার্চের মধ্যে দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রে সংশোধন আনা হচ্ছে বিএনপিতে। এ লক্ষ্যে দলটির মহাসচিবের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে সারাদেশের কাউন্সিলরদের চিঠি দেয়া হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী জানান, দলের গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য একটি ধারা আছে, যেখানে কাউন্সিলররা বর্তমান গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করতে পারেন। গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য আমরা মহাসচিব বরাবর প্রস্তাব দিতে কাউন্সিলরদের চিঠি দিয়েছি। কাউন্সিলকে সফল করতে একাধিক উপকমিটি গঠনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দু-একদিনের মধ্যে এসব কমিটি গঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিয়ত হুমকিতে জাতি আজ আক্রান্ত এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, নানাভাবে পীড়িত মানুষের প্রতিবাদ কোনোভাবে সহ্য করতে পারেন না বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীর কাছে তিনি যেন এখন হুমকি-কন্যা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার হুমকির মুখে দেশের মানুষের সকল অধিকার আজ নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। ভোট, নির্বাচন, কথাবলা, সমালোচনা ও প্রতিবাদ, লেখা, প্রকাশ করা, চলাফেরা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল স্বাধীনতা দ্বিতীয় মেয়াদের শেখ হাসিনার বাকশালে বন্দী হয়েছে। মানুষের অধিকার শব্দটিকে শেখ হাসিনা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। মূলত তিনি জনমতকেই রাষ্ট্রীয় শক্তির জোরে হুমকি দিয়ে সাসপেন্ড করে রেখেছেন। দেশবাসীর প্রতি প্রতিনিয়ত এই হুমকির অর্থ হচ্ছে- একদলীয় দুঃশাসন প্রলম্বিত করার স্বপ্নযাত্রা।

তিনি বলেন, অন্ধ হুমকি ও উৎপীড়নের রাজত্বে সরকারি প্রশাসনিক সংস্থা ও সাংবিধানিক সংস্থাগুলোও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সুইচের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সাধারণত নায়েব-মোসাহেবরা উপহাস আর তিরস্কারে লজ্জিত হন না। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে শেখ হাসিনার অভিপ্রায়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্বাচন কমিশন জাতির অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ভাগ্যলক্ষ্মীকে বিতাড়িত করেছেন- যাতে এ জাতির ভাগ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোদিন না আসে। এই কমিশনকে এখন গণতন্ত্র ধ্বংসের এক অবিস্মরণীয় ব্যঙ্গচিত্র হিসেবে জনগণ অবলোকন করছে। আসলে এই মোসাহেব নির্বাচন কমিশনের নিকট নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ করা আর অরণ্যে রোদন করা একই কথা। জনগণ যদিও সবকিছু দেখছে, শুনছে তথাপিও আপনাদের মাধ্যমে কমিশনের চরিত্রটা জনগণের নিকট তুলে ধরি।

নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন লজ্জা ঢাকার শেষ সুতাটুকুও বিসর্জন দিয়ে সরকারের ইচ্ছা পূরণে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি স্বাধীন সাংবিধানিক নির্বাচন কমিশনের মর্যাদার প্রাচীর ভেঙে দিয়েছে বর্তমান কমিশন। তাই তাদের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ উত্থাপিত হলেও তারা বেহায়ার মতো আচরণ করছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারবৃন্দের যদি ন্যূনতম হায়া বা শরম থাকত তাহলে তারা অনেক আগেই পদত্যাগ করতেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

(ওএস/এস/ফেব্রুয়ারি০৭,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test