E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘আওয়ামী লীগের নীতিই হলো দুর্নীতি’

২০১৬ মে ২৫ ১৪:৩৯:৫৯
‘আওয়ামী লীগের নীতিই হলো দুর্নীতি’

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের নীতিই হলো দুর্নীতি, আর ঐতিহ্য হলো সহিংস সন্ত্রাস। তিনি বলেন, ‘আরেকটি ঐতিহ্য হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনগণের নিকট মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে পারঙ্গম এরা।’ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘সাংবিধানিক সকল বিধি বিধান আওয়ামী লীগের কাছে গৌন, মুখ্য হলো সন্ত্রাস ও রক্তপাত, প্রাণহানি। আর এ ধরণের ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে তারা মানুষের সব বৃত্তিকে গ্রাস করে নিতে চায়। দেশের সকল বিরোধী দলগুলোর সভা সমাবেশের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণারোপের মধ্য দিয়ে কোনঠাসা করে রাখা এবং গণমাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে সাংবাদিকতার স্বাধীন সত্তাকে ভূলুন্ঠিত করা হচ্ছে এ জন্যই যে, এরা সন্ত্রাসী পরিকাঠামো নির্মাণ করে জনগণের ভোটাধিকারকে আটকিয়ে রাখতে চায়।’

‘এদের দুঃশাসনের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে মানবাত্মার অবমাননার বিভিন্ন দিক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী বিনা ভোটের নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সিংহাসন দখলের পর তারা আরো বেশি মাত্রায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আর সেজন্যই আমরা দেখতে পাচ্ছি একের পর এক স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে পৈশাচিক রক্তের হোলিখেলা’ বলেন রিজভী আহমেদ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকাগুলোতে শুধু রাত বিরেতে নয়, বরং দিনে দুপুরে সাধারণ ভোটারদের চলতে ফিরতে গা ছমছম করে। রক্তচোষা আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির কড়াইশুদ্ধ খেয়ে ফেলে এখন জনগণের হাড়গোড় চিবিয়ে খাচ্ছে।’

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। দেশে দেশে নির্মম একদলীয় সরকার তৃণমূল পর্যন্ত তাদের কমান্ড নিশ্চিত করার জন্যই দলীয় লোকদের দিয়ে স্থানীয় সরকার গঠন করে। আর এ ব্যবস্থায় বিরোধী সংগঠন, ভিন্ন মতাদর্শ, সরকারের সমালোচনা একেবারেই উচ্ছেদ করে দেয়া হয়।’

রিজভী বলেন, ‘আমাদের দেশের বর্তমান আইনে গ্রামীণ আদালতের ব্যবস্থা আছে। এই আদালতের বিচারক হচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তারাই বিচারকার্য পরিচালনা করেন। এই নির্বাচনে সারাদেশ থেকে সরকারদলীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জোর করে জিতিয়ে দেয়ার একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে তৃণমূলে একদলীয় শাসনকে সুদৃঢ় করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই উদ্দেশ্য নিয়েই আইন করে ৭৫ সালে বাকশাল গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি ব্যর্থ হয়ে যায়। তাই এবার গণতন্ত্রের আলখেল্লায় দুর্বিনীত সন্ত্রাসের আশ্রয়ে নব্য বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে চলেছে।’

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট চুরি, ভোট ডাকাতির এতো সব মহাযজ্ঞের পরেও কোনো রকম গণতান্ত্রিক সৌজনের তোয়াক্কা না করেই আজকেও হয়তো নির্বাচন কমিশন বলবে-আগের নির্বাচনগুলোর চেয়ে আজকের নির্বাচন আরো সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেন সরকারের খাঁচাবন্দী পাখি। তার যেন কিছুই করার নেই, শুধু সরকারের নির্দেশ মান্য করা ছাড়া।’

তিনি বলেন, ‘কমিশন শুধু সরকারের সমস্ত উস্কানি, প্ররোচণা, অসভ্যতা, রক্তারক্তি, খুনোখুনি, প্রাণহানি, জখম করে পঙ্গু করার ঘটনাগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে, প্রশ্রয় দিচ্ছে। কমিশনের এই নির্লজ্জ ভূমিকা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোই কেবল নয়, অধিকার গ্রুপ, ইলেকশন মনিটরিং গ্রুপ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, কলামিস্টরা অসংখ্য অভিযোগ, আপত্তি ও নিন্দা জানালেও নির্লজ্জতার মর্মর মনুমেন্ট নির্বাচন কমিশন বে-হায়ার মতো তা দেখেও না দেখার ভান করছে।’

(ওএস/এএস/মে ২৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test