E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘জঙ্গি সঙ্গে নিয়ে বিএনপির জঙ্গি বিরোধী আন্দোলন’

২০১৬ জুলাই ১৪ ১৫:৩৬:৩২
‘জঙ্গি সঙ্গে নিয়ে বিএনপির জঙ্গি বিরোধী আন্দোলন’

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী আন্দোলনের কথা বলছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাঙালি সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘সাংস্কৃতিক আন্দোলনই রুখতে পারে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বুধবার এক বৈঠকে খালেদা জিয়া জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে জঙ্গি বিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই বৈঠকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয়া ও জঙ্গির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। একটা কথা মনে রাখবেন, হেড কোয়ার্টারে গলদ থাকলে তা সফল হয় না।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে আগের মতো সংস্কৃতির চর্চা হয় না। অথচ এই সংস্কৃতিই আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। সন্ত্রাসবাদ শুধু বাংলাদেশের একার সমস্যা নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পেট্রোল বোমা হামলার জন্য বিএনপিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস রুখতে প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিকভাবে সচেতন হওয়া জরুরি। সবাইকে নিয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কেননা দেশে এই সন্ত্রাস হামলার কৌশল ভিন্ন। তাই একে প্রতিরোধ করতে সন্তানদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পাঠিয়ে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি। এতো অল্প পরিসরে পারিবারিক দায়িত্ব পালন হয় না। তাই আমাদের এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই সংস্কৃতির বলয়কে থামিয়ে দিতে পারে। নাচ, গানই শুধু সংস্কৃতি নয়, সন্তান মানুষ করাও সংস্কৃতির অংশ। সন্ত্রাস শক্তিশালী নয় ভীতু, তাই সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সন্ত্রাসকে প্রতিরোধ করতে হবে।

বৈঠকে চিত্রনায়িকা নতুন বলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে জানান দিতে হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা। শুধু গোলটেবিল বৈঠক করলে হবে না। এই সংগ্রামকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংস্কৃতির চর্চা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে বক্তারা বলেন, এক সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংস্কৃতির চর্চা নিয়মিত হতো। কিন্তু এখন তার দেখা মিলে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকছে না ক্যাম্পাসের সুযোগ সুবিধা। ফলে শিক্ষার্থীরা অন্যদিকে চলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা ক্রমাগত বাঙালি সংস্কৃতি হতে সরে যাচ্ছি। তাই এটা বাড়ানো উচিত।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- নাট্যব্যাক্তিত্ব ড. ইনামুল হক, নাট্যজন এসএম মোহসিন, কবি রবীন্দ্রনাথ গোপ, স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, আবদুর জব্বার প্রমুখ।

(ওএস/এএস/জুলাই ১৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test