E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘তারেককে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এই রায়’

২০১৬ জুলাই ২১ ১৩:৫৫:৫০
‘তারেককে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এই রায়’

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থপাচার মামলায় দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ায় বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বিএনপি।

নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ রায়ে হতাশা প্রকাশ করে দলের নেতারা বলেছেন রায় যথাযথ হয়নি।

রায়ের পর দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে প্রতিহিংসা থেকেই এই রায় এসেছে।

বিএনপি মহাসচিব এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তারেক রহমানের অর্থপাচারের মামলায় নেতিবাচক কিছু বের করতেই খালাস পাওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেছে। এই রায় অনুমেয়ই ছিল।’

সরকার তারেক রহমানকে সাজা দিতে চেয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, যখন নিম্ন আদালতের রায়ের পর আপিল হলো, তখনই বোঝা গিয়েছিল এই মামলা রাজনৈতকি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রতিহিংসা থেকে না হলে ওই রায় সরকার মেনে নিত। তারা (সরকার) চেয়েছিল, এই মামলায় নেতিবাচক কিছু আসুক। তারেক রহমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।’

অর্থপাচারের মামলাকে নজিরবিহীন আখ্যা দিয়ে মামলার রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান।

তিনি বলেন, ‘এই মামলাটিই নজিরবিহীন। কারণ পৃথিবীর কোনো দেশে সাপলিমেন্টারি ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে মামলা হয়েছে এমন তথ্য নেই। যে কারণে নিম্ন আদালত থেকে তিনি খালাস পেয়েছিলেন। এই রায়ে জাতি হতাশ হয়েছে। একজন আইনজীবী হিসেবে বলতে পারি, এই রায় যথাযথ হয়নি।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও তারেক রহমানের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আজকের হাইকোর্টের রায়ে আমরা স্তম্ভিত ও হতবাক। এ রায়ে সমগ্র জাতিও হতবাক হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা একাকার হয়ে গেছেন।’

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, নির্মাণ কনস্ট্রাকশনস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দিতে ২০ কোটি টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওই টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়। ওই হিসাব থেকে প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা খরচ করেন তারেক।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন বিচার শেষে রায় ঘোষণা করেন। এতে তারেককে খালাস এবং মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও হয়।

২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারেক যুক্তরাজ্য থেকে না ফেরায় তার বিরুদ্ধে সমন জারি করে তার লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানো হয়। এরপরও তারেক সাড়া না দেওয়ায় তাকে পলাতক ঘোষণা করেন আদালত। পরে গত ৪ মে হাইকোর্টে দুদকের আপিল ও কারাদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে মামুনের আপিলের একসঙ্গে শুনানি শুরু হয়।

(ওএস/এএস/জুলাই ২১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test