E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘এতো খারাপ সময় আর কখনো দেখিনি’

২০১৬ সেপ্টেম্বর ০২ ১৮:২৩:০৮
‘এতো খারাপ সময় আর কখনো দেখিনি’

স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিবাদের সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে ক্ষমতাসীনরা ‘মিথ্যা দোষারোপের রাজনীতি  করে এখন নিজেরাই জঙ্গিবাদের ফাঁদে পড়েছে বলে মনে করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতো খারাপ সময় আর কখনো দেখিনি।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে যৌথভাবে এর আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার একেক সময় একেকটি ইস্যু তৈরি করে সেটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এখন নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে পড়েছে।

“কিছুদিন তারা জঙ্গিবাদ নিয়ে বিএনপিকে দোষারোপ করে বক্তব্য দিয়েছে। আজকে জঙ্গিবাদ এসে গেছে...এখন যাবে কোথায়? যতই মিথ্যাচার করো, একথা এখন সবাই বলছে যে জঙ্গিবাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রয়েছে। এটির সম্পৃক্ততার কারণ সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু মিথ্যাচার দিয়ে যে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে, এটা জনগণ বুঝে গেছে”, বলেন তিনি।

বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশকে ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া বানাতে চায়। কিন্তু বিএনপি তা কখনো হতে দেবে না। সংকট কাটিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে। বাধা-বিপত্তি পার করতে হবে। দেশের মানুষ বিএনপির ওপর সেই দায়িত্ব দিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে আমাদের সামনে বড় সমস্যা। দেশ বড় ধরনের একটি সংকটে পড়েছে। একটি স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেশ হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব থাকেবে কী, থাকবে না, সেই সময়ে এসে উপস্থিত হয়েছি।’

নেতা-কর্মীদের বিভেদ ভুলে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এতো খারাপ সময় আর কখনো দেখিনি। এটা উপলব্ধি করতে হবে। শুধু আলোচনা সভা, সেমিনার করে হবে না। সংগঠনকে শুক্তিশালী করতে হবে। সংগঠনকে নিয়ে জনগণের মাঝে যেতে হবে। তাদের নিয়ে অধিকারগুলো আদায় করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে, এটি অস্বীকার করা উপায় নেই। কিন্তু সেই দলটিই ৭৫ সালে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, এখন আবার করছে। এটি আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ চরিত্র। ক্ষমতায় গেলেই তারা ফ্যাসিবাদী হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনগণকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে এতটাই ভয় পায় যে, দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যা লিও করতে দিতে চায় না।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে সরকার উঠেপড়ে লেগেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে সাজা দিলে বিএনপি মেনে নেবে না। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের রাজনীতির ধারক। ভবিষ্যতের কর্নধর। এজন্য তাকে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য, তিনি যেন এদেশে ফিরে আসতে না পারে। তারেক রহমান যে দিন ঢাকায় আসবে সেদিন কোটি জনতা তাকে স্বাগতম জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হবে।

বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, হাবিবুর রহমান হাবিব, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সহ-প্রচার সম্পাদক আমীরুল ইসলাম আলীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুর রহমান চন্দন।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test