E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হান্নান শাহের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন

২০১৬ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৫:০৭:৫৪
হান্নান শাহের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাদ জোহর দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে হাজার হাজার নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হন প্রয়াত এই নেতা।

জানাজায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড.আব্দুল মঈন খান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, আহমেদ আযম খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর. আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, হাবিবুর রহমান হাবিব, গোলাম আকবর খন্দকার, আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, মারুফ হোসেন, রফিক শিকদার, ইউনুস মৃধা, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু প্রমুখ অংশ নেন।

এ ছাড়া ২০ দলীয় জোট নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, শফিউল আলম প্রধান, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া প্রমুখ জানাজায় অংশ নেন।

জানাজা শেষে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

বিকেলে আসর নামাজ শেষে রাজধানীর মহাখালী গাউসুল আযম মসজিদে চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। পরে সেখান থেকে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।

পরদিন শুক্রবার সড়কপথে মরহুমের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার নির্বাচনী এলাকা গাজীপুরে। সেখানে প্রথমে সকাল ৯টায় জয়দেবপুর রাজবাড়ী মাঠে, সকাল সাড়ে ১০টায় কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং বাদ জুম্মা মরহুমের গ্রাম চালা বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সর্বশেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার করবের পাশেই সমাহিত করা হবে হান্নান শাহকে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মহাখালী ডিওএইচএস জামে মসজিদে প্রয়াত বিএনপির এই নেতার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন, এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান প্রমুখ।

পরে বিএনপি নেতা হান্নান শাহের মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা নিয়ে আসা হলে বেলা সাড়ে ১১টায় সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী, চিফ হুইফ আ স ম ফিরোজ, বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে হুইপ নুরুল ইসলাম, খালেদা জিয়ার পক্ষে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, এলডিপির পক্ষে আব্দুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রয়াত এই নেতার কফিনে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

জানাজায় ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইফসুফ, জয়নাল আবেদীন, ২০ দলীয় জোট নেতা খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, জেবেল রহমান গাণি, কামরুজ্জামান, প্রাক্তন হুইপ শহীদুল হক জামাল, প্রাক্তন সাংসদ আশরাফ উদ্দিন নিজাম, জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), নাজিম উদ্দিন আলম, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মোমেন তালুকদার খোকা, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ আহসান রাসেল প্রমুখ অংশ নেন।

বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হান্নান শাহের মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়।

গত মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে রাইফেলস হার্ট সেন্টার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন হান্নান শাহ।

অসুস্থ হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হান্নান শাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে তার হার্টের অপারেশন করা হয়।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাখালী ডিওএইচএসর বাসা থেকে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময়ে তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সে সময় দ্রুত তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে কয়েকদিন রাখার পর চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিএনপির সর্বোচ্চ দলীয় নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রাক্তন এই সেনা কর্মকর্তা চাকরি জীবন শেষে বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন থাকার সময় পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test