E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইসি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের প্রতিফলন ঘটেছে: বিএনপি

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ০৮ ১১:০৫:১৭
ইসি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের প্রতিফলন ঘটেছে: বিএনপি

নিউজ ডেস্ক :বাংলাদেশে সার্চ কমিটির সুপারিশ থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনের ৫ জন সদস্যকে বেছে নেবার একদিন পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট বলছে তারা "নিরাশ ও হতাশ হয়েছে"।

রাতে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বিশ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে আনুষ্ঠানিক এই প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, "শেষ মুহূর্তে রুদ্ধশ্বাস দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সন্দেহ জন্ম দিয়েছে"।

"এসব সন্দেহের মধ্যে একটি বড় সন্দেহ হল কাদেরকে নির্বাচন কমিশনে রাখা হবে সেটি ছিল শাসক মহলের পূর্বপরিকল্পিত"।

"সঙ্গত কারণেই আমরা মনে করতে পারি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দেরই প্রতিফলন ঘটেছে", সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন মি. আলমগীর।

সার্চ কমিটির দেয়া দশ জনের তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা ও অপর চার জনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সোমবার রাতেই মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।

তারপর প্রায় সব তরফ থেকেই এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রতিক্রিয়া এলেও বিএনপি ও এই দলের নেতৃত্বাধীন জোট আলোচনার মাধ্যমে পরে প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে জানায়।

চব্বিশ ঘণ্টারও বেশী সময় পর আনুষ্ঠানিক সেই প্রতিক্রিয়া এলো।

প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী জোট আরো বলছে, নতুন সিইসি যুগ্ম সচিব হিসেবে চাকরী জীবন শেষ করেছেন। সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি কাগজে কলমে। এই সব পদে দায়িত্ব পালনের কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা তার নেই।

"অভিজ্ঞ সচিব ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এই ঘটনা অভূতপূর্ব। রাজনৈতিক বিবেচনা ছাড়া এমন হবার কথা নয়"।

মি. হুদাকে ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের বিরোধীতাকারী 'জনতার মঞ্চের' একজন বলেও চিহ্নিত করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

"এমন একজন বিতর্কিত সাবেক সরকারি কর্মকর্তার নেতৃত্বে কোন প্রতিষ্ঠান নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না", বলেন মি. আলমগীর।

তিনি বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম কারো কাছে কৃতজ্ঞ বা কারো প্রতি ক্ষুব্ধ কেউ যেন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ না পান। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাই হয়েছে"।

"একটি নির্বাচন কমিশনের যাত্রার শুরুতে আস্থার সঙ্কট ভবিষ্যতে বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে"।

"কাজেই এই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব হবে না"। বিবিসি বাংলা



(ওএস/এস/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test